ধৃত সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ছবি: এক্স।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে ইরানের মাছ ধরার নৌকা উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। শনিবার তাদের তরফে জানানো হল, আত্মসমর্পণ করেছিল যে ৯ জন জলদস্যু, তাঁদের ভারতে নিয়ে আসা হচ্ছে। ২০২২ সালের নৌবাহিনীর জলদস্যু বিরোধী আইনে ধৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
নৌবাহিনীর তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ইরানের মাছ ধরার জাহাজ ‘আল-কাম্বার ৭৮৬’ থেকে ২৩ জন পাকিস্তানিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা ওই জাহাজে কাজ করতেন। তাঁদের শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নৌবাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে আরব সাগরের সোকোত্রা লেট থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে ইরানের নৌকাটি অপহরণের জন্য তাতে উঠে পড়েন ন’জন সশস্ত্র জলদস্যু। অপহরণের খবর পেয়ে নৌসেনার টহলদারি জাহাজ ‘আইএনএস সুমেধা’ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিছু ক্ষণ পরেই সেখানে পৌঁছয় যুদ্ধাজাহাজ ‘আইএনএস ত্রিশূল’। প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযানের পর জসদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, জাহাজের ২৩ জন পাকিস্তানি কর্মীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরেই আরব সাগরে বিভিন্ন জাহাজ এবং নৌকায় লুট চালাচ্ছে সোমালি জলদস্যুরা। হুথি বিদ্রোহী এবং সোমালি জলদস্যুদের হামলায় সমুদ্রপথে বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। গত ১৭ মার্চ প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মাল্টার পণ্যবাহী জাহাজকে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌসেনা। জাহাজের দখল নেওয়া ৩৫ জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় জাহাজের ১৭ জন কর্মীকেও। এর আগে, এডেন উপসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া একটি জাহাজকে উদ্ধার করতে গিয়ে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার মুখে পড়তে হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজকে।