খাগড়াগড় কাণ্ডের তদন্তে আরও এক ধাপ এগোল এনআইএ। সোমবার বাংলাদেশের পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করল এনআইএ। খাগড়াগড় কাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের একটি তালিকা তারা তুলে দেয় বাংলাদেশের তদন্তকারীদের হাতে। বাংলাদেশের গোয়েন্দারাও জঙ্গি গোষ্ঠী জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর ফেরার নেতাদের ছবি দেখান এনআইএ-র সদস্যদের। ঢাকার সন্দেহ, ওই নেতারা ভারতে গা ঢাকা দিয়ে আছেন। এ ছাড়াও তদন্তে এনআইএ-জানতে পেরেছে যে, জেএমবি-র হিট লিস্টে রয়েছেন বাংলাদেশের বেশ কয়েক জন রাজনীতিক এবং বিদ্বজ্জন। তাঁদের তালিকাও বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছে এনআইএ-র চার সদস্যের প্রতিনিধি দল।
২ নভেম্বর বর্ধমানের খাগড়াগড়-কাণ্ডে মৃত্যু হয় দুই সন্দেহভাজন জঙ্গির। আর এক জঙ্গি আব্দুল হাকিম জখম হয়। সে এখন এনআইএ-র হেফাজতে। এনআইএ জেনেছে, এই বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে জেএমবি। তাই ঠিক হয় খাগড়াগড় কাণ্ডের তদন্তে বাংলাদেশে যাবে এনআইএ।
সেই মতো এ দিন ডিজি শরদ কুমারের নেতৃত্বে এনআইএ-র দল ঢাকায় পৌঁছয়। এনআইএ-র দলটিকে সাহায্যের জন্য ঢাকা ছয় সদস্যের একটি কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব মোজাম্মেল হক খান বলেন, “ভারতের সন্দেহ, খাগড়াগড় কাণ্ডের জঙ্গিরা ভারত এবং বাংলাদেশে লুকিয়ে রয়েছে। এদের খুঁজে বের করার জন্য দু’দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ দরকার।” খাগড়াগড় কাণ্ডে যে সব জায়গার নাম উঠে এসেছে, এনআইএ-র দল সেগুলি ঘুরে দেখবে বলে জানা গিয়েছে।
দু’দেশের তদন্তকারীদের মধ্যে এই বৈঠক খাগড়াগড় কাণ্ডের তদন্তকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যেই এই বিস্ফোরণের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুই মহিলা-সহ যে আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে জেএমবি-র চাঁই বাংলাদেশের বাসিন্দা সাজিদ।
এনআইএ-র দাবি, জঙ্গিদের বর্ধমান মডিউল বা গোষ্ঠীর মাথা ছিল এই সাজিদ। ৮ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় তাকে। উল্টো দিকে বাংলাদেশের পুলিশ গ্রেফতার করেছে সাজিদের ভাই মহম্মদ মোনায়েমকে। এ ছাড়াও খাগড়াগড় কাণ্ডে অসম থেকে ন’জন এবং ঝাড়খণ্ড থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।