ইরান বাহিনী। ছবি: রয়টার্স।
ইজ়রায়েল যদি তাদের হামলা চালানোর বিষয়টিকে একটা ‘অ্যাডভেঞ্চার’ বলে মনে করে, তা হলে তার জন্য তাদেরও প্রস্তুত থাকতে হবে। এই হামলার জবাব এমন ভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হবে, কল্পনাই করতে পারবে না ইজ়রায়েল। দু’দেশের মধ্যে সৃষ্ট টানাপড়েনের আবহের মধ্যে এমনই হুঁশিয়ারি দিল ইরান।
সে দেশে বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়া শুক্রবার এনবিসি নিউজ়-কে জানিয়েছেন, ইরানে ছোট ছোট ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। যদিও সেই হামলা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রুখে দেওয়া হয়েছে। হামলার আগেই বেশ কিছু ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়েছে। তবে ইজ়রায়েলের দিকে থেকেই এই ড্রোনগলি এসেছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর পরই আমিরাবদোল্লাহিয়া হুঁশিয়ারি দেন, ইজ়রায়েল যদি ইরানের স্বার্থে আঘাত করার চেষ্টা করে, যদি তারা আরও ‘অ্যাডভেঞ্চার’ দেখতে চায়, তা হলে তার জন্য তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তাঁর কথায়, “আমাদের পরবর্তী জবাব যে পর্যায়ে হবে, তা ইজ়রায়েল কল্পনা করতে পারবে না।” শুক্রবার ভোরে ইরানের ইসফাহান এলাকায় ড্রোন হামলা চালায় ইজ়রায়েল। সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম ফারস-এ এমনই দাবি করা হয়েছে। কিন্তু সেই হামলা ইরান বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) রুখে দিয়েছিল। যদিও এই হামলা নিয়ে কোনও বিবৃতিই দেয়নি ইজ়রায়েল। তাদের তরফে যে এই হামলা চালানো হয়েছে, সে কথাও স্বীকার করেনি।
এই ইসফাহান এলাকাতেই রয়েছে ইরানের কয়েকটি পরমাণু গবেষণা এবং ইউরেনিয়াম পরিশোধন কেন্দ্র। ইজ়রায়েলের হামলার লক্ষ্য সেই কেন্দ্রগুলিই ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে ইরান। প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র বিমানহানা চালিয়েছিল ইজ়রায়েল। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ইরানের কয়েক জন কূটনীতিক ও সামরিক প্রতিনিধি। তারই জবাব দিতে গত ১৩ এপ্রিল ইজ়রায়েলে ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান বাহিনী। তার পরেই পাল্টা প্রত্যাঘাতের বার্তা দিয়েছিলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।