রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় তিন মাসের মেয়ের সঙ্গে জেসিন্ডা আর্ডেন। ছবি: রয়টার্সের টুইটার হ্যান্ডল থেকে
সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা, বিশ্ব শান্তি, শরণার্থী সঙ্কট থেকে কূটনীতির চর্চা। বহু দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের গুরুগম্ভীর আলোচনা রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায়। কিন্তু তার মধ্যেই নতুন এক নজির গড়ল নিউজিল্যান্ডের এই খুদে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় কনিষ্ঠতম ‘সদস্য’ হিসাবে অভিষেক ঘটল সে দেশের মহিলার প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে নেভে-তে অরোহা-র। আর রাষ্ট্র-দেশের ভারী ভারী আলোচনার মধ্যেও কার্যত মধ্যমণি অরোহা।
বিষয়টা কী? মাস তিনেক আগেই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন এবং তাঁর সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডের কোল আলো করে এসেছে প্রথম কন্যাসন্তান। এর মধ্যেই চলে এসেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা। সেখানে যোগ দিতেই হবে। তাই তিন মাসের অরোহাকে নিয়েই নিউইয়র্কে জেসিন্ডা। সঙ্গী গেফোর্ড।
মঙ্গলবার যখন শান্তি আলাচনা নিয়ে সভায় বক্তব্য রাখছেন, অরোহা তখন গেফোর্ডের কোলে। সারা দিনের আলোচনার মধ্যে ডায়াপারও পাল্টাতে হয়েছে অরোহার। টুইটারে আরোহার একটি প্রতীকী ‘সিকিওরিটি পাস’ পোস্ট করে গেফোর্ড লিখেছেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় নিউজিল্যান্ডের ‘প্রথম শিশু’। আরও ভাল হত, যদি ন্যাপি বদলানোর সময় জাপানী প্রতিনিধিদের উৎসুক চোখগুলো ছবিতে ধরতে পারতাম।’’
আরও পড়ুন: পেট থেকে গাছ! মাটি খুঁড়তেই মিলল কঙ্কাল
খুদে সদস্যের উপস্থিতিতে যারপরনাই আহ্লাদিত রাষ্ট্রপুঞ্জও। সংস্থার মুখপাত্র স্টেফানে দুজারিক বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি ছাড়া আর কেউ দেশের প্রতিনিধিত্ব এর চেয়ে ভাল করতে পারতেন না। বিশ্ব নেতৃত্বের মাত্র পাঁচ শতাংশ মহিলা। এই পরিস্থিতিতে একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রী তাঁর শিশুকন্যাকে নিয়ে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন, নারীর সমানাধিকারে এর চেয়ে বড় দৃষ্টান্ত আর কি হতে পারে।’’
আরও পড়ুন: সিডনি বিমানবন্দরে বর্ণবিদ্বেষের শিকার শিল্পা শেঠি
প্রসঙ্গত, ৩৮ বছরের আর্ডেন নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকাকালীন সন্তান প্রসব করার ক্ষেত্রে বিশ্বে তিনি দ্বিতীয়। তাঁর আগে ১৯৯০ সালে বেনজির ভুট্টো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে থাকা অবস্থায় সন্তানের জন্ম দেন।
(আন্তর্জাতিক সারা বিশ্বের সেরা সব খবর বাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)