ডেসিরি গিবন
নির্জন রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে পড়ে নলি-কাটা এক তরুণীর দেহ। রাস্তায় জমাট বেঁধে ছিল চাপ চাপ রক্ত। পরে জানা যায়, নিহত ওই তরুণী এক মডেল। বাড়ি নিউ ইয়র্কের কুইন্সে।
পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে উত্তর-পশ্চিম জামাইকার ছোট্ট শহর অ্যাঞ্চোভির কাছাকাছি এক রাস্তায় মেলে ডেসিরি গিবনের (২৬) দেহ। জায়গাটা বিখ্যাত মন্টেগো বে থেকে প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার দূরে। অনুমান, খুন করার আগে ডেসিরির সঙ্গে হামলাকারীর ধস্তাধস্তি হয়। দেহে সেই চিহ্ন মিলেছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ জানায়, প্রথমে ডেসিরির পরিচয় জানা যায়নি। পরে তরুণীর ছবি নিয়ে এলাকার বিভিন্ন হোটেল, রিসর্টে যায় পুলিশ। মন্টেগো বে-তে নিজের দিদিমার হোটেলেই থাকছিলেন ডেসিরি। পুলিশ সেখানে গেলে, ওই হোটেলের কর্মচারীরাই তাঁকে শনাক্ত করেন। তাঁদের কাছ থেকেই ফোন নম্বর নিয়ে ওই মডেলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ।
পরিবার পুলিশকে জানায়, ফিল্ম কলেজে পড়ার স্বপ্ন ছিল তিন বোনের মধ্যে বড় ডেসিরির। তার জন্য টাকা জোগাড় করতে ২০ অক্টোবর তিন মাসের ভিসা নিয়ে জামাইকা চলে যান তিনি। পানশালায় কাজ করে অল্প অল্প করে ওই টাকাই জমাচ্ছিলেন। মা অ্যান্ড্রিয়া ক্যালি-গিবন জানান, বৃহস্পতিবারই মেয়ের নিউ ইয়র্কে ফেরার কথা ছিল। বলেন, ‘‘মেয়ের সঙ্গে শেষ বার যখন কথা হয়েছিল, ও বলছিল, নিউ ইয়র্কে ফিরে আসবে। এখানে এক বন্ধুর কাছে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। ভীষণ খুশি ছিল।’’
সূত্রের খবর, মেয়ের দেহ ফিরিয়ে আনার আর্থিক সামর্থ্য ছিল না পরিবারের। তাই অনলাইনে আর্থিক সাহায্য চায় মডেলের পরিবার। জোগাড় হয় প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। এর পরেই জামাইকায় গিয়ে আত্মীয়েরা ডেসিরির দেহ শনাক্ত করেন। মঙ্গলবার তাঁর শেষকৃত্য।
পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কারণ জানা যায়নি। তবে শনিবার রাতে ডেসিরি তাঁর ব্যাগ ও পরিচয়পত্র হোটেলে রেখেই বেরিয়েছিলেন। যা থেকে পুলিশের অনুমান, চেনা কারও সঙ্গেই সে দিন বেরোন তরুণী। আদতে জামাইকার বাসিন্দা, ডেসিরির বাবার দাবি, ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত ভাবে তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে।