সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল বিএনপি নেতৃত্ব। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ বার দেখা যাবে নতুন দল ‘তৃণমূল বিএনপি’-কে। ইতিমধ্যেই বিএনপি, জাতীয় পার্টি এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগ ছেড়ে একঝাঁক নেতা শামিল হয়েছেন নতুন দলে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অনাস্থা জানিয়ে ২০১৫ সালে নতুন দল গড়েছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি)-র বিদ্রোহী নেতারা। চলতি বছর সে দেশের নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃতিও পেয়ে গিয়েছে প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা সমশের মবিন চৌধুরী এবং খালেদার প্রাক্তন রাজনৈতিক উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকারের নেতৃত্বাধীন ওই দল। এ বার প্রথম স্বীকৃত রাজনৈতিক দল হিসাবে ভোটে লড়তে চলেছে তারা।
সমশের একদা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালের অক্টোবর দল ছেড়েছিলেন। আর তৈমুরকে ‘দলবিরোধী কার্যকলাপের’ অভিযোগে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে বহিষ্কার করেছিল বিএনপি। খালেদা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য নাজমুল হুদা তৃণমূল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরে নেতৃত্বে এসেছেন সমশের এবং তৈমুর।
চলতি সপ্তাহ থেকে ভোটে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ইচ্ছুকদের আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে তৃণমূল বিএনপি। ইতিমধ্যেই আওয়ামী লিগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির প্রাক্তন সাংসদ নতুন দলে যোগ দিয়েছেন। সেই দলে রয়েছেন, হাসিনার ঘনিষ্ঠ প্রয়াত বিএনপি নেতা আবদুস সাত্তার ভুইয়াঁর পুত্র মাইনুল হাসান এবং একদা জাতীয় পার্টির প্রথম সারির নেতা জিয়াউল হক মৃধা। কট্টরপন্থী দল ইসলামি ঐক্যজোটের প্রথম সারির নেতা মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীও যোগ দিয়েছেন তৃণমূল বিএনপিতে। ‘প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম’ নামে একটি অনথিভুক্ত রাজনৈতিক সংগঠনও তৃণমূল বিএনপিতে মিশে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে শুক্রবার।