ফাইল চিত্র
উত্তরাখণ্ডের কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরাকে নিজেদের মানচিত্রে যোগ করে দেশের নয়া মানচিত্র অনুমোদনের জন্য সংবিধান সংশোধন করতে আগেই নেপাল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিল পাশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার নেপালি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষেও পাশ হয়ে গেল বিলটি। সংসদের ৫৭ জন প্রতিনিধির প্রত্যেকেই বিলটিকে সমর্থন করে ভোট দিয়েছেন। এ বার সেটি অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে নেপালি সংসদ। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললে নতুন মানচিত্রে জায়গা করে নেবে ভারতের তিনটি এলাকা।
পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে সংবিধান সংশোধন বিলটি পাশের আগের দিন, বুধবার কালাপানি এলাকার চাংরুতে তৈরি হওয়া নতুন সিকিউরিটি পোস্ট পরিদর্শন করেন সে দেশের সেনাপ্রধান পূর্ণ চন্দ্র থাপা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সীমান্ত পাহারায় নিযুক্ত আর্মড পুলিশ ফোর্সের প্রধান শৈলেন্দ্র খানাল।
গত ৮ মে ওই এলাকা দিয়ে ধরচুলা-লিপুলেখ সড়কের উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তার পরেই উত্তরাখণ্ডের কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরাকে নেপাল নিজেদের বলে দাবি করে। তখনই ওই এলাকায় নতুন একটি পোস্ট তৈরি করে নেপাল সরকার। পাশাপাশি ভারতীয় অঞ্চলকে নিজেদের মানচিত্রে ঢোকাতে চেয়ে মানচিত্র সংশোধনেও তৎপর হয়। সে জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশনও ডাকা হয়। শনিবার নিম্নকক্ষে বিলটি পাশের পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ভারত। নেপালের এই কাজ গ্রহণযোগ্য নয় বলে স্পষ্ট জানায় নয়াদিল্লি। বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের সম্পর্কেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এমনিতে ভারত ও নেপালের পারস্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নারাভাণে নেপালের
এমন আচরণের পিছনে চিনের হাত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই নেপালে ভারতের প্রভাব কমিয়ে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে সক্রিয় চিন। সে কারণেই নাম না করে চিনের প্রভাবের কথা বলেছেন সেনাপ্রধান। কিন্তু এতেও লাভ হয়নি। বরং ভারতীয় এলাকাকে দাবি করার পর থেকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সেগুলিকে মানচিত্রে যোগ করতে সক্রিয় হয়েছে কাঠমান্ডু। সংসদে বিরোধীদের পূর্ণ সমর্থনও পেয়েছে সরকারপক্ষ।