নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ব্যবসায়ীর ‘সহায়তায়’ প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন! সোমবার এই জল্পনা উস্কে দিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ড। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। নেপালের বিরোধী দলগুলি প্রচণ্ডর ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছে।
বিতর্কের সূত্রপাত এক ভারতীয় ব্যবসায়ীকে কেন্দ্র করে। নেপালের প্রখ্যাত পরিবহণ ব্যবসায়ী সর্দার প্রীতম সিংহের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রচণ্ড। অশীতিপর এই শিল্পপতির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তাঁর প্রশংসা করে প্রচণ্ড বলেন, “উনি (প্রীতম) এক বার আমায় প্রধানমন্ত্রী করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন।” এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “উনি বহু বার দিল্লি গিয়েছেন এবং কাঠমাণ্ডুর রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন শুধু আমাকে প্রধানমন্ত্রী করবেন বলে।”
প্রচণ্ডর এই মন্তব্যের পরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে নেপালের রাজনীতিতে। সে দেশের প্রধান বিরোধী দল কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউএমএল) বুধবার সংসদের অধিবেশন ভন্ডুল করে দেয়। দলের নেতা তথা নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁরা কোনও সাফাই শুনতে চান না, তাঁরা চান যত দ্রুত সম্ভব প্রচণ্ড পদত্যাগ করুন। বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর দায়বদ্ধতা রয়েছে কেবল দেশের জনগণ এবং সংসদের প্রতি। পড়শি রাষ্ট্র ভারতের প্রতি নয়।
প্রচণ্ড জাতীয় সংহতি এবং সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করেছেন বলেও অভিযোগ বিরোধী দলগুলির। যদিও প্রচণ্ডর দল কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওবাদী সেন্টার)-এর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। প্রচণ্ডর এই বক্তব্য নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে নেপালের শাসক জোটের অন্যতম শরিক নেপালি কংগ্রেসও।