ভারতের অন্তর্গত তিনটি ভূখণ্ড নিজেদের বলে দাবি করেছে নেপাল। ভারতের আপত্তির তোয়াক্কা না করে সংবিধান সংশোধন করে উত্তরাখণ্ডের কালাপানি, লিপুলেখ গিরিপথ এবং লিম্পিয়াধুরাকে নিজেদের মানচিত্রে সংযোজিত করেছে কে পি শর্মা ওলির সরকার। এর পরে সেই নতুন মানচিত্র সম্বলিত পাঠ্যবই প্রকাশ করল নেপালের শিক্ষা দফতর।
এর মধ্যেই ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে ঘুমিয়ে পড়া সংগঠন সার্কের বিদেশমন্ত্রীরা অনলাইন বৈঠকে বসতে চলেছেন। সূত্রের খবর, ২৪ তারিখে এই বৈঠকে হাজির থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটান, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ— সব সদস্য দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। থাকছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপকুমার গায়ালির উদ্যোগে দক্ষিণ এশিয়ার এই আঞ্চলিক সংগঠন বহু বছর পরে ফের সক্রিয় হতে চলেছে।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি তাঁর নিজের দল নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারাও দায়ী করছেন ওলিকে। কূটনীতিকেরা এই পদক্ষেপের পিছনে চিনের হাত দেখতে পাচ্ছেন। বিহারের কয়েক জায়গাতেও সীমান্ত পেরিয়ে উত্তেজনা তৈরি করেছে নেপালি সেনা ও পুলিশ। সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় ভূখণ্ডে চাষের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে তারা। দিন কয়েক আগে সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের অনলাইন বৈঠকে পাক প্রতিনিধি ভারতের ভূখণ্ডকে তাঁদের বলে দাবি করা একটি মানচিত্র দেখালে প্রতিবাদে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত দু’দেশের সম্পর্ককে তপ্ত করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে নেপালের উস্কানিতে পা দিতে চাইছে-না দিল্লি। কিন্তু রাম আদতে নেপালি, তরাই নেপালে তাঁর জন্মস্থান— এমন মন্তব্য করেও উত্তেজনা সঞ্চার করছেন দলে কোণঠাসা ওলি, চিনের প্রত্যক্ষ তৎপরতায় যিনি ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। আবার বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন ওলি।