সুনীতা উইলিয়ামস। —ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে সহকর্মীদের সঙ্গে ছবি তুললেন সুনীতা উইলিয়ামস। মহাকাশ স্টেশন থেকে রওনা দেওয়ার আগে সুনীতা এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোরের শেষ কিছু মুহূর্তের ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে নাসা। মহাকাশ স্টেশন ছাড়ার আগে পরিবর্ত হিসাবে আসা নভশ্চরদের সঙ্গে ছবি তোলেন তাঁরা। চার জন একে অপরের কাঁধে হাত রেখে ছবি তুললেন, ক্যামেরার দিকে হাত নাড়ালেন সকলে। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে উড়ন্ত চুম্বন ছুড়ে দিলেন সুনীতা। এর পরে পরিবর্ত হিসাবে আসা নভশ্চরেরা নিজেদের স্থানে ফিরে যান। আলিঙ্গন করলেন সহ-নভশ্চরদের। ন’মাস এই মহাকাশ স্টেশনই হয়ে উঠেছিল সুনীতা এবং বুচের ঘর। সেখান থেকে ফেরার আগে বিশেষ মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করে রাখলেন দুই মহাকাশচারী।
নাসার ঘোষিত সূচি অনুসারে আট দিনের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন সুনীতারা। গত বছরের জুন মাসে তাঁরা পৌঁছোন মহাকাশে। কিন্তু তাঁদের মহাকাশযান বোয়িং স্টারলাইনারে যান্ত্রিক সমস্যা ধরে পড়ে। পরে বেশ কয়েক বার তাঁদের ফেরানোর চেষ্টা করে নাসা, কিন্তু সফল হয়নি। এ বার অবশেষে পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। রবিবারই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছোয় স্পেসএক্সের ড্রাগন যান। মঙ্গলবার আইএসএস থেকে সুনীতা এবং বুচ উঠে পড়েন ড্রাগন যানে। তার পর শুরু হয় আন ডকিং প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার কিছুটা পরে (ভারতীয় সময়) সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়। সুনীতাদের নিয়ে আইএসএস ছাড়ে ড্রাগন যান। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে পৃথিবীতে ফিরতে তাঁদের সময় লাগবে প্রায় ১৭ ঘণ্টা।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ভারতীয় সময় অনুসারে বুধবার ভোর ৩টে ২৭ মিনিট নাগাদ পৃথিবীতে পৌঁছোবেন তাঁরা। ড্রাগন যান পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পরে সেটি থেকে চারটি প্যারাশুট খুলে বেরিয়ে আসবে। এর পরে ধীরে ধীরে সেটি নেমে আসবে আমেরিকার ফ্লোরিডার কাছে সমুদ্রে। সাধারণত এই ধরনের মহাকাশযানগুলি পৃথিবীতে ফেরার সময়ে সমুদ্রেই অবতরণ করে। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হচ্ছে। ড্রাগন সমুদ্রে নামার পরে সুনীতা এবং বুচকে উদ্ধারের জন্য সেখানে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকবে জাহাজ। ওই জাহাজে করেই তাঁদের নিয়ে আসা হবে উপকূলে।