এএফপি-র তোলা ফাইল চিত্র।
একমঞ্চে পাশাপাশি দেখা যাবে দুই রাষ্ট্রনেতাকে। একই মঞ্চে ভাষণ দেবেন তাঁরা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক নেতার লক্ষ্য, সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার আগে কাশ্মীর প্রসঙ্গে যতটা সম্ভব ঘর গুছিয়ে নেওয়া। অন্য নেতার উদ্দেশ্য, আগামী বছরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভারতীয়-বংশোদ্ভূত মার্কিন ভোটারদের ইতিবাচক বার্তা দেওয়া। তবে হিউস্টনে ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানে কে আগে ভাষণ দেবেন? কোন নেতাই বা চমক দেবেন, তা নিয়ে তুঙ্গে উত্তেজনার পারদ।
হিউস্টনে ৫০ হাজার আসনবিশিষ্ট এনআরজি ফুটবল স্টেডিয়ামে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলবে অনুষ্ঠান। এর আগে স্থির ছিল, কিছু ক্ষণের জন্য ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আধ ঘণ্টা বক্তৃতা করার কথা তাঁর। তবে শনিবার হোয়াইট হাউস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রায় দেড় ঘণ্টা অনুষ্ঠানে থাকবেন ট্রাম্প। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নিজের ভোটবাক্স গুছিয়ে নেওয়া ছাড়াও ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্য থাকবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সেই সঙ্গে বাণিজ্য ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গভীরতর করার চেষ্টাও করবেন।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের জনগণের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ককে গুরুত্ব দেওয়ার অনবদ্য সুযোগ রয়েছে ‘হাউডি মোদী’-তে। বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম গণতন্ত্রের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ফের ঝালিয়ে নেওয়া ছাড়াও বাণিজ্য-বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে দু’দেশের সম্পর্ক কী ভাবে আরও মজবুত করা যায়, আলোচনার মাধ্যমে তা খুঁজে বার করারও সুবর্ণ সুযোগ এটি।’
আরও পড়ুন: ‘ছোটখাটো বিষয়েও এত নজর!’ বিমানবন্দরে মোদীর বিশেষ সৌজন্য নিয়ে প্রশংসার ঝড়
এই অনুষ্ঠানে থিম রাখা হয়েছে, ‘শেয়ারড ড্রিমস, শেয়ারড ফিউচার’। অনুষ্ঠানের আগেই এর অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ‘টেক্সাস ইন্ডিয়া ফোরাম’-এর দাবি ছিল, স্টেডিয়ামের একটিও আসন খালি থাকবে না। তাঁরা জানিয়েছেন, গত সাত দশক ধরে ভারত-মার্কিন দু’দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ইন্দো-আমেরিকানদের ভূমিকার কথা তুলে ধরা হবে এই অনুষ্ঠানে।
আরও পড়ুন: ‘সিদ্ধান্তের জন্যে ধন্যবাদ,’ প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়েই আপ্লুত প্রবাসী কাশ্মীরি পণ্ডিতরা
এক দিকে ট্রাম্প যখন তাঁর ভোটারদের তুষ্ট করতে উদ্যোগী হবেন, অন্য দিকে, মোদীও চাইবেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার আগে কাশ্মীর প্রসঙ্গে তাঁর সরকারের বক্তব্যকে জোরাল ভাবে পেশ করতে। সোমবার ওই সভাতেই মোদীর পাশাপাশি ভাষণ দেবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর পর একটি পার্শ্ববৈঠকে ট্রাম্পের মুখোমুখি হবেন তিনি। কাশ্মীর ইস্যুতে ইমরান রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ ওই বৈঠকেও যে সরব হবেন, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। এই আবহে কাশ্মীর প্রসঙ্গে বিজেপি সরকারের ভূমিকাকে তুলে ধরতে চাইবেন নরেন্দ্র মোদী।