Yuri Gagarin

Russia Ukraine War: গাগারিন রাশিয়ান, তাই প্রথম নভোশ্চরের নামে আলোচনাচক্রের শিরোনামই বদলে গেল, বিতর্ক তুঙ্গে

১৯৩৪ সালের ৯ মার্চ সোভিয়েত ইউনিয়েনের ছোট্ট গ্রাম ক্লুসিনোতে জন্মেছিলেন গাগারিন। চার ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় গাগারিন গ্র্যাজুয়েশনের পরে নরওয়ে সীমান্তের কাছে লুওস্তারি সেনা বিমানঘাঁটিতে পাইলট হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। পরে তিনি এবং মোট ২০ জন পাইলট সোভিয়েত মহাকাশ গবেষণার অংশ হয়েছিলেন। যদিও ওই ২০ জনের মধ্যে ‘ভস্তক-১’ মহাকাশযানে শেষ অবধি জায়গা করে নিয়েছিলেন গাগারিনই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২২ ০১:৫১
Share:

ফাইল চিত্র।

নভোশ্চর ইউরি আলেক্সিভিচ গাগারিনকে সম্মান জানাতে একটি আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রের নামকরণ করা হয়েছিল তাঁরই নামে। কিন্তু শেষমেশ আলোচনাচক্রের নামবদল করেছেন উদ্যোক্তারা। আনুষ্ঠানিক ভাবে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি’ই কারণ। তবে জল্পনা তৈরি হয়েছে, গাগারিনের রাশিয়ান পরিচয়ের কারণেই ওই নামবদল। তা নিয়ে বিতর্কও দানা বেঁধেছে বিশ্ব জুড়ে। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনবাসীর পক্ষে দাঁড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক।

Advertisement

আমেরিকার কলোরাডোতে ‘স্পেস ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠন আগামী ৩ এপ্রিল মহাকাশ বিষয়ক এক আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছে। তাদের বার্ষিক এই আলোচনাচক্রের শিরোনাম ছিল, ‘ইউরি গাগারিন নাইটস’। কিন্তু হঠাৎই ওই সংগঠন আলোচনাচক্রের নাম বদলে দেয়। নতুন শিরোনাম ‘মহাকাশের উদ্‌যাপন: আগামীর সন্ধানে’। অর্থাৎ মহাকাশ গবেষণায় মানুষের কৃতিত্ব এবং ভবিষ্যতে কোন পথে তা এগোবে সেটাই ওই আলোচনাচক্রের বিষয়।

ওই আলোচনাচক্রে উপস্থিত থাকার কথা মহাকাশ নিয়ে গবেষণারত একাধিক সংস্থা-সহ অন্তত ১৬০টি মহাকাশ গবেষণার সঙ্গে যুক্ত কোম্পানির। বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ১০০ জনের। আলোচনাচক্রে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা এক হাজারের বেশি। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য মহাকাশ গবেষণার উদ্দেশ্যে তহবিল সংগ্রহ। নাম বদলালেও তাদের উদ্দেশ্য একই থাকবে বলে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে যে ভাবে বিশ্বের প্রথম মহাকাশচারীর সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শিরোনাম বদলে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

Advertisement

১৯৩৪ সালের ৯ মার্চ সোভিয়েত ইউনিয়েনের ছোট্ট গ্রাম ক্লুসিনোতে জন্মেছিলেন গাগারিন। চার ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় গাগারিন গ্র্যাজুয়েশনের পরে নরওয়ে সীমান্তের কাছে লুওস্তারি সেনা বিমানঘাঁটিতে পাইলট হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। পরে তিনি এবং মোট ২০ জন পাইলট সোভিয়েত মহাকাশ গবেষণার অংশ হয়েছিলেন। যদিও ওই ২০ জনের মধ্যে ‘ভস্তক-১’ মহাকাশযানে শেষ অবধি জায়গা করে নিয়েছিলেন গাগারিনই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement