নিঃসঙ্গতম বাড়ি। ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া ছবি।
বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপে একটি মাত্র বাড়ি। চারিদিকে নীল জলরাশি। এমনই এক নয়ানাভিরাম জায়গার কয়েকটি ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কেউ বলছেন, পৃথিবীতে এমন কোনও জায়গা নেই। শিল্পীর কল্পনায় ফোটোশপে তৈরি। কেউ বলছেন আইসল্যান্ডে এমন জায়গার অস্তিত্ব রয়েছে। ছোট্ট ওই দ্বীপের একমাত্র বাড়িটিকে এখন বিশ্বের 'নিঃসঙ্গতম তকমা দিয়েছেন নেটাগরিকরা। কিন্তু সত্যিটা কী?
এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, আইল্যান্ডের দক্ষিণে এক বিচ্ছিন্ন এলাকায় এই দ্বীপটি অবস্থিত। দ্বীপটির নাম এলিডে। আইসল্যান্ডের দক্ষিণে ১৫ থেকে ১৮টি এমন ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে। এটি তারই একটি। কিন্তু বর্তমানে এই দ্বীপটি জনমানব শূন্য। এক সময় এখানে ৫টি পরিবার বাস করত। শেষ পরিবারটি ১৯৩০ সালে এই দ্বীপ ছেড়ে চলে যায়।
বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপে অবস্থিত একমাত্র বাড়িটি নিয়ে আরও কিছু গল্পগুজব শোনা যায়। তার মধ্যে একটি হল, কোনও এক কোটিপতি এই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বাড়িটি তৈরি করিয়েছিলেন। কারণ যদি কোনও দিন জোম্বি আক্রমণ শুরু হয়, তবে তিনি সেখানে চলে যাবেন। এই মতবাদটি প্রকাশ পেয়েছে আর এক ব্রিটিশ দৈনিকে।
আর এক দল মানুষের ধারণা, আইসল্যান্ডের জনপ্রিয় গায়িকা বিউর্ক এই বাড়িটি তৈরি করেছেন। কেউ কেউ আবার বলেন, ধর্মীয় সাধনার জন্য নির্জন এই দ্বীপে বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে।
A post shared by Hörður Kristleifsson ◆ Iceland (@h0rdur)
তবে এত মত ভেসে বেড়ালেও সত্যটা হচ্ছে, বাস্তবেই আইসল্যান্ডের এলিডে দ্বীপে এমন একটি বাড়ি রয়েছে। আর তার মালিক হল ‘এলিডে হান্টিং অ্যাসোসিয়েশন’। বাড়িটি আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর আগে, ১৯৫০ সালে তৈরি করা হয়। এই অ্যাসোসিয়েশনের সদ্যসা শিকার করতে গিয়ে এই বাড়িতে থাকেন। এই শিকারিরা সমুদ্রে দীর্ঘচঞ্চু যুক্ত এক প্রকার পাখি ‘পাফিন’ শিকার করতে যান। ফলে বাস্তবেই এমন একটি দ্বীপ আর তাতে বিশ্বের 'নিঃসঙ্গতম বাড়ি' রয়েছে। যাবেন নাকি সেখানে?