র্যাশেল চেজ়। ছবি: সংগৃহীত।
তিনি শরীর সুস্থ রাখার পাঠ পড়ান। প্রশিক্ষণও দেন। সমাজমাধ্যমে অত্যন্ত সক্রিয়। আর সেই সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করেই শরীরচর্চা এবং শরীরকে সুস্থ রাখার নানা কৌশল শেখান। জনপ্রিয় সেই ‘ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার’-এর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। আর সেই রহস্য উন্মোচনের কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
তিনি নিউ জ়িল্যান্ডের জনপ্রিয় ‘ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার’ র্যাশেল চেজ়। পাঁচ সন্তানের এই জননীর ফেসবুকে অনুগামীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ। র্যাশেলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর কন্যা অ্যানা চেজ়। কিন্তু কী ভাবে র্যাশেলের মৃত্যু হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
নিউজ় ডট কম ডট এইউ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০১ সালে ক্রিস চেজ়কে বিয়ে করেছিলেন র্যাশেল। কিন্তু ২০১৫ সালে মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হন ক্রিস। তাঁর ১০ বছরের জেল হয়। ওই বছরেই ক্রিসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় র্যাশেলের। খুব কম বয়স থেকেই দেহসৌষ্ঠবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিউ জ়িল্যান্ডের এই জনপ্রিয় ‘ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার’। তার পর সেটিকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। দেশের বহু দেহসৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। বহু পুরস্কারও জিতেছিলেন। নিউ জ়িল্যান্ডের প্রথম মহিলা হিসাবে লাস ভেগাসে আয়োজিত অলিম্পিয়া দেহসৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন র্যাশেল।
শুধু শরীরচর্চার বিষয়ই নয়, সমাজমাধ্যমে নিজের জীবনের প্রতি মুহূর্তে ঘটে চলা ঘটনাগুলিও তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করতেন। দেহসৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় একের পর এক সাফল্য আসতে থাকায় পরবর্তী কালে ‘ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার’ হিসাবে সমাজমাধ্যমে শরীরচর্চার নানা পাঠ এবং কৌশল শেখাতে শুরু করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সমাজমাধ্যমে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছিল। র্যাশেলের কন্যা অ্যানা বলেন, “মা খুব দয়ালু ছিলেন। আমাদের সব রকম ভাবে সহযোগিতা করতেন। অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলেন। লাখ লাখ মানুষ ওঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হতেন, বিশেষ করে মহিলারা।”