মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল চিত্র।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঠিক আগে যে দেশ সফর করেছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে সেই চিনেই যাচ্ছেন মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী বুধবার (২৬ মার্চ) শুরু হবে তাঁর চার দিনের চিন সফর।
ঘটনাচক্রে, সে দিনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সরাসরি হানাদার পাকিস্তান বাহিনীকে মদত দিয়েছিল চিন। বেজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস জানিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।
জাতীর উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস বলেন, ‘‘আমরা চাই আগামী নির্বাচনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। এ জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।’’ এর পরেই গত বছরের ক্ষমতার পালাবদলের প্রসঙ্গ টেনে তাঁর মন্তব্য, ‘‘জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম পর্ব সফল ভাবে সমাপ্ত হয়েছে। প্রথম পর্বের সমাপ্তির মধ্যে দিয়ে অভ্যুত্থানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হল। সব সময় মনে রাখতে হবে, আমরা কিন্তু যুদ্ধাবস্থায় রয়েছি!’’
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অগস্ট মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস তাঁর বক্তৃতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময়সীমা জানিয়েছিলেন তা নিয়ে আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। বিজয় দিবসের সেই বক্তৃতায় ইউনূস বলেছিলেন, ‘‘সব শর্ত পূরণ করলে ২০২৫-এর শেষ থেকে ২০২৬-এর প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন করা যেতে পারে।’’ পরের দিন ইউনূসের প্রেস সচিব আবার ব্যাখ্যা দেন, ২০২৬-এর জুনের পরে নির্বাচন হতে পারে। বিএনপির দাবি কার্যত উপেক্ষা করে মঙ্গলবার আগের অবস্থানে অটল থাকারই বার্তা দিলেন ইউনূস।