প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আরও এক জঙ্গির রহস্যময় মৃত্যু হল পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে। সূত্রের খবর, শনিবার ওই জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই জঙ্গির নাম শেখ জামিল-উর-রহমান। তিনি কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা ছিলেন। ইউনাইটে জিহাদ কাউন্সিল (ইউজেসি) এবং তেহরিক-উল-মুজাহিদিন (টিইউএম) জঙ্গিগোষ্ঠীর স্বঘোষিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন রহমান। ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রহমানকে জঙ্গি হিসাবে ঘোষণা করে।
জম্মু-কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন রহমান। শুধু তাই-ই নয়, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসএআইয়ের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি। এমনই দাবি ওই সূত্রের। টিইউএম জঙ্গিগোষ্ঠী নব্বইয়ের দশকে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছিল জম্মু-কাশ্মীরে। কিন্তু শুরুতেই এই জঙ্গি সংগঠনের কোমর ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। ১৯৯১ সালে এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিস খানের মৃত্যুর পর টিইউএম আর সে ভাবে মাথাচাড়া দিতে পারেনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, টিইউএম সংগঠনকে জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয় করার কাজ শুরু করেছিলেন রহমান। নিজেকে ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসাবেও ঘোষণা করেন তিনি। টিইউএমকে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন ইউজেসি-র ছাতার তলায় আনার কাজ করেছিলেন রহমান। ইউজেসি আবার লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, অল বদর, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় শাখা। রহমান জম্মু-কাশ্মীরের যুবকদের জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ানোর কাজ, প্রশিক্ষণ এবং পাকিস্তান থেকে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর মতো কাজ করতেন। পাকিস্তানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন রহমান। সেখান থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি নেটওয়ার্ক চালাতেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে বেশ কয়েক জন ‘ওয়ান্টেড জঙ্গি’র রহস্যময় মৃত্যু হয়েছিল। গত বছরের নভেম্বরে লস্কর কমান্ডার আক্রম গাজ়ি নামে এক জঙ্গিকে খাইবার পাখতুনখোয়ায় অজ্ঞাতপরিচয়েরা গুলি করে খুন করেন। ওই বছরের ডিসেম্বরে আরও এক লস্কর কমান্ডার আনদান আহমেদকেও গুলি করে খুন করা করাচিতে। এ বছরে ফেব্রুয়ারিতে লস্করের আরও এক জঙ্গিনেতা আজ়ম চিমার হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় ফয়জ়লাবাদে। তিনি ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী ছিলেন।