পুরস্কার পাওয়ার ঘোষণাটা হওয়ার পর দীর্ঘদিন নীরব ছিলেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আসেননি। আসবেন, এমন কথা ছিলও না। তাঁর পাঠানো ধন্যবাদজ্ঞাপক চিঠিটা সেই অনুষ্ঠানে পড়েছিলেন সুইডেনের মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
সাম্প্রতিক অতীতের সেই বিতর্কিত অধ্যায় সরিয়ে রেখে শেষ পর্যন্ত স্টকহলমে এসেই ২০১৬ সালের সাহিত্যের নোবেল পুরস্কার নিলেন বব ডিলান। শনিবার হাল্কা মেজাজের সেই ঘরোয়া অনুষ্ঠানের সাক্ষী ছিলেন সুইডিশ অ্যাকাডেমির স্থায়ী সচিব সারা দানিয়ুস-সহ ১২ জন সদস্য। ৭৫ বছর বয়সি সঙ্গীত-জাদুকরের অনুষ্ঠান করতে স্টকহলম আসাটা নির্ধারিতই ছিল। তবে জল্পনা চলছিল, এই সুযোগে সাহিত্যের নোবেল প্রাপকের হাতে তাঁর পদকটি তুলে দেওয়া হবে কি না। শেষ অবধি তা-ই হল। দানিয়ুস ব্লগে জানিয়েছেন, সঙ্গীতানুষ্ঠান শুরুর আগে স্টকহলমে একটি গোপন স্থানে পদক তুলে দেওয়া হয়েছে ডিলানের হাতে। শ্যাম্পেন সহযোগে সেই ঘরোয়া আড্ডায় পদকটি খুঁটিয়ে দেখেছেন ডিলান।
শিল্পীর হাতে এখনও ১০ জুন পর্যন্ত সময় রয়েছে। এই মেয়াদের মধ্যে তাঁকে নোবেল বক্তৃতা দিতেই হবে। অথবা বাঁধতে হবে নতুন কোনও গান। সেই বক্তৃতা বা গানের ভিডিও সম্প্রচার হলেও চলবে। কিন্তু ব্যাপারটা আবশ্যিক। না হলে নোবেল পুরস্কারের ধার্য অর্থমূল্য ৮ লক্ষ ৯১ হাজার ডলার হয়তো পাবেন না ডিলান। অর্থাৎ ধন্যবাদজ্ঞাপক চিঠিটাকে যে বক্তৃতা হিসেবে ধরা হবে না, তা পরিষ্কার।
অতএব প্রশ্ন, ভক্তরা কী চান। বক্তৃতা, না টাটকা নতুন গান?