Viral News

Viral: সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে পর্ন ছবির শ্যুটিং, পাঁচ কোটি টাকা উপার্জন করলেন বাবা-মা!

প্রাপ্তবয়স্কদের ভিডিয়ো বানিয়ে জেস আর মাইক প্রতি মাসে অন্তত ৩০ হাজার পাউন্ড উপার্জন করেন। মোট পাঁচ লক্ষ পাউন্ডেরও বেশি আয় হয়েছে তাঁদের।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২১ ১১:৪১
Share:

জেস এবং মাইক মিলার। ছবি: সংগৃহীত

ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে এক দম্পতি বাড়িতেই প্রাপ্তবয়স্কদের ভিডিয়ো শ্যুট করতেন। মূল চরিত্রে অভিনয় করতেন নিজেরাই। গত কয়েক মাসে সেই ভিডিয়ো বিক্রি করে তাঁরা ৫ লক্ষ পাউন্ড উপার্জন করেছেন। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫ কোটি টাকার সমান। তবে ইদানিং অন্য একটি সমস্যা ভাবাচ্ছে তাঁদের। ওই দম্পতি দেখেছেন, উপার্জনের যে পন্থা তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন, তাকে সমালোচনার নজরে দেখছেন স্কুলের অন্য ছাত্রছাত্রীদের বাবা-মায়েরা। এমনকি স্কুল থেকে সন্তানদের বাড়িতে আনতে গেলে চার পাশে চাপা গুঞ্জনও কানে আসছে দু’জনের।

ইংল্যান্ডের সাউথ এন্ড অন সি-র বাসিন্দা ওই দম্পতি জেস এবং মাইক মিলার জানিয়েছেন, মাস কয়েক আগেও তাঁরা এই পেশায় ছিলেন না। বছর বত্রিশের জেস একজন অনিয়মিত মেক আপ শিল্পী হিসেবে কাজ করতেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চুক্তি ভিত্তিক সহকারী হিসেবে কাজ করতেন ৩৩-এর মাইক। তাতে প্রতি মাসে হাতে আসত ২ হাজার পাউন্ড। আর এখন প্রাপ্তবয়স্কদের ভিডিয়ো বানিয়ে জেস আর মাইক প্রতি মাসে অন্তত ৩০ হাজার পাউন্ড উপার্জন করেন। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। গত কয়েক মাসে পাঁচ লক্ষ পাউন্ডেরও বেশি অর্থাগম হয়েছে তাঁদের। যা দিয়ে ওই দম্পতি একটি মার্সিডিজ এবং একটি ফিয়াট গাড়ি কিনেছেন। মেরামত করে নতুন করে ফেলেছেন নিজেদের বাড়িটিকেও।

Advertisement

কিন্তু সম্প্রতি সন্তানদের স্কুল থেকে আনতে গিয়ে অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন তাঁরা। জেস জানিয়েছেন, স্কুল চত্বরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা লক্ষ করেন প্রত্যেকে নিজেদের কাজ থামিয়ে তাঁদের দিকে তাকিয়ে আছেন। ওই থমথমে পরিবেশে অস্বস্তি বোধ করছিলেন জেস এবং মাইক। কিন্তু প্রথমটায় পাত্তা দেননি। পরে স্কুলে গেলে চাপা গুঞ্জন উঠেছে তাঁদের ঘিরে। এমনকি কোনও কোনও পড়ুয়ার মা জেসকে একান্তে ডেকে জিজ্ঞাসাও করেছেন তাঁদের দাম্পত্যের নতুন রসায়নের কথা।

জেস অবশ্য জানিয়েছেন, পেশার স্বার্থে যে তাঁরা প্রাপ্তবয়স্কদের ভিডিয়ো বানাচ্ছেন, তা তাঁর সন্তানেরা জানে। জেসের প্রথম পক্ষের স্বামীর ঔরসেই দুই সন্তান। তাদের এক জনের বয়স ৭। অন্যজন ১১। জেস জানিয়েছেন, ছোটটির এখনও বোঝার বয়স না হলেও তাকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। বড়টি বেশ বুঝদার। সে ইঙ্গিত বুঝে নিয়ে মা কে জানিয়েছে, জেস যদি এতে ভাল থাকেন, তবে সে-ও খুশি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement