কংগ্রেস সদস্য অ্যান্ডি লেভিন
নরেন্দ্র মোদী সরকার তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার পরে সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ব্রিটেনের লেবার পার্টির কয়েক জন এমপি। আন্দোলনকারী কৃষকদের অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন তাঁরা। এ বার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন আমেরিকান কংগ্রেসের সদস্য অ্যান্ডি লেভিন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বিষয়ে ঘোষণা করার পরে লেভিন বলেছেন, “এক বছরেরও বেশি প্রতিবাদ আন্দোলনের পরে ভারতের তিনটি কৃষি আইন ফিরিয়ে নেওয়া হবে। এই ঘটনায় আমি আনন্দিত।” তাঁর কথায়, “এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত যে যখন কর্মীরা একজোট হয়, তখন তারা কর্পোরেট স্বার্থকে হারিয়ে দিতে পারে। ভারত তথা গোটা বিশ্বের প্রগতির সঙ্গে নিজেকে জুড়তে পারে।”
আমেরিকান সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘মোদী সরকারের পিছু হটার এটি একটি বিরল নিদর্শন।’’ ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিন্দুত্ববাদ নির্ভর জাতীয়তাবাদ প্রবলভাবে প্রচার করে থাকে। ইন্টারনেট ও সংবাদমাধ্যমে সমালোচনা কড়া হাতে স্তব্ধ করে দেয়। ওই সংবাদপত্রের মতে, এই মোদীর এ হেন সিদ্ধান্তে স্পষ্ট যে তাঁর জোর কমে আসছে।
কূটনৈতিক সূত্রের মতে, আমেরিকান কংগ্রেসের সদস্যের এ হেন প্রতিক্রিয়া খুব অপ্রত্যাশিত নয়। কারণ, আমেরিকান কংগ্রেসের ‘কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস’ ফেব্রুয়ারিতেই এক রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, কৃষকদের আন্দোলনের মোকাবিলায় মোদী সরকার যে পথ নিয়েছে তাতে ভবিষ্যতে তারা বিপাকে পড়বে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, ভারতে এখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের যা অবস্থা তা বাইডেন প্রশাসনের কাছেও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আমেরিকান কৌশলের অন্যতম অংশীদার। এই এলাকায় চতুর্দেশীয় অক্ষ কোয়াডের বৈঠকের আগেই ‘কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস’-এর ওই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তার জেরে কূটনৈতিক স্তরে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছিল। আমেরিকান কংগ্রেসে ভারতের সমর্থক ‘ইন্ডিয়া ককাস’-এর নেতা ব্র্যাড শেরমানও আন্দোলনকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখতে নয়াদিল্লিকে অনুরোধ করেন। আন্দোলনকারীরা যাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেও অনুরোধ করেছিলেন তিনি।