ফাইল চিত্র।
পিএনবি প্রতারণায় অভিযুক্ত মেহুল চোক্সীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আইনি এবং কূটনৈতিক সব রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাঁকে কবে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে, এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, চোক্সীকে ফিরিয়ে আনতে এখনও আরও এক মাস সময় লাগতে পারে। ইতিমধ্যেই চোক্সীকে ফেরাতে ডমিনিকায় পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই এবং ইডি-র বিশেষ দল। সব রকম প্রস্তুতিও সারা হয়ে গিয়েছে। শুধু ডমিনিকার হাই কোর্টের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
ডমিনিকায় বিচার চলছে চোক্সীর। অ্যান্টিগা এবং ডমিনিকা সরকার আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছে যত দ্রুত সম্ভব চোক্সীকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করার অনুমতি দেওয়া হোক। অন্য দিকে, চোক্সীর আইনজীবীরাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যেন কোনও ভাবেই তাঁকে ভারতের হাতে তুলে না দেওয়া হয়। চোক্সী ভারতের নাগরিক নন, অতএব তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া যায় না। এই যুক্তি দেখিয়ে আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন চোক্সীর আইনজীবীরা। ফলে আইনি জটিলতায় পরে চোক্সীর প্রত্যর্পণের বিষয়টি ক্রমে বিলম্ব হচ্ছে।
মেহুলের বিরুদ্ধে দুটো মামলা চলছে ডমিনিকায়। একটা হল, তাঁকে কি বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করেছে ডমিনিকার পুলিশ। এবং তাঁকে কোন দেশের হাতে তুলে দেওয়া উচিত। দ্বিতীয়ত মামলাটি হল, বেআইনি ভাবে ডোমিনিকায় প্রবেশ।
এই মামলার সঙ্গে জড়িত এক সূত্রের দাবি, যত ক্ষণ না এই দু’টি মামলা আদালতে সামধান হবে, তত ক্ষণ পর্যন্ত চোক্সীর প্রত্যর্পণ অসম্ভব। বৃহস্পতিবার ডমিনিকার হাইকোর্ট চোক্সীর শুনানি স্থগিত করে দেয়। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ১ জুলাই।