চিঠি ফাঁস নিয়ে মামলা মেগানের, ক্ষুব্ধ হ্যারিও 

মেগানের বেশ কিছু বন্ধু গত বছর আর একটি পত্রিকাকে জানিয়েছিলেন, মেগান তাঁর বাবাকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। সেটা ২০১৮ সালের অগস্ট মাসের কথা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লন্ডন শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:০৫
Share:

একটি ব্রিটিশ পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করতে চলেছেন ডাচেস অব সাসেক্স মেগান।—ছবি পিটিআই।

বেআইনি ভাবে তাঁর ব্যক্তিগত চিঠি ছাপার অভিযোগে একটি ব্রিটিশ পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করতে চলেছেন ডাচেস অব সাসেক্স মেগান। গোটা বিষয়টিতে অসম্ভব ক্ষুব্ধ মেগানের স্বামী ডিউক অব সাসেক্স, রাজকুমার হ্যারিও। তিনি বলেছেন, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর প্রচার চলছে। হ্যারির কথায়, ‘‘আমি মাকে হারিয়েছি। এখন স্ত্রীকে দেখছি সেই একই ক্ষমতার হাতে পর্যুদস্ত হতে।’’ ১৯৯৭ সালে পাপারাৎজির তাড়ায় প্যারিসের সুড়ঙ্গে গাড়ি-দুর্ঘটনায় ৩৬ বছর বয়সে প্রাণ হারান হ্যারির মা, প্রাক্তন যুবরানি ডায়ানা।

Advertisement

যে চিঠি নিয়ে বিতর্ক, সেটি মেগান লিখেছিলেন তাঁর বাবা টমাস মার্কলকে। টমাসই নাকি ওই পত্রিকাকে চিঠিটি দেন, তেমনই জানান পত্রিকার মুখপাত্র। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেটি প্রকাশিত হয়েছিল। পত্রিকার দাবি, তারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরছে না। মেগানের বেশ কিছু বন্ধু গত বছর আর একটি পত্রিকাকে জানিয়েছিলেন, মেগান তাঁর বাবাকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। সেটা ২০১৮ সালের অগস্ট মাসের কথা। টমাস মেগানের বিয়েতে আসেননি। হ্যারি তো বটেই, নাতি আর্চির মুখও দেখেননি। মেগানের বিয়ের আগেই বিতর্কে জড়ান টমাস। অভিযোগ ওঠে তিনি অর্থের বিনিময়ে নিজের ছবি তুলতে দেন সংবাদমাধ্যমকে।

বিরক্ত হ্যারি বলেছেন, ‘‘ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলোর এখনকার শিকার আমার স্ত্রী। এক জন মানুষের উপরে এর কী প্রভাব পড়ে, ওরা ভাবে না। ’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement