অ্যারিজোনার মারিকোপায় জন্ম। জন্মসূত্রে তিনি রিচার্ড হার্নান্ডেজ নামে পরিচিত। পরবর্তীকালে লিঙ্গ বদলে ফেলে তিনিই হলেন তিয়ামত বাফোমেট মেডুসা।
সালটা ১৯৯৭। মেডুসা তখন রিচার্ড। আমেরিকার একটি জনপ্রিয় ব্যাঙ্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট। সে বছরই তাঁর এইচআইভি ধরা পড়ে। আর সঙ্গে জীবনের প্রতি রিচার্ডের দৃষ্টিভঙ্গীও বদলে যায়। লোভনীয় এই চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।
শুধুমাত্র একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে মারা যেতে চাননি তিনি। চেয়েছিলেন অন্য কোনও প্রাণীর বেশে মৃত্যুকে বরণ করে নিতে। তার জন্যই ৫৫ বছরের রিচার্ড একাধিক যন্ত্রণাদায়ক অস্ত্রোপচার করিয়ে প্রথমে মহিলা হন এবং পরে ড্রাগনের রূপ নেন।
২০১২ সালে তিনি নাক এবং কানের অস্ত্রোপচার করান। শরীরেও অনেকগুলো কসমেটিক সার্জারি করান। মুখে এবং শরীরে স্থায়ী ট্যাটু করান। যাতে দেখতে অনেকটা ড্রাগনের চামড়ার মতো লাগে। দাঁত তুলে ফেলেন। আর মাথায় ড্রাগনের শিংয়ের মতো ৮টি শিং বানান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে।
আর সবচেয়ে আশ্চর্য, ড্রাগন হওয়ার জন্য তিনি নিজের জিভ চিরে সরীসৃপের মতো করে নেন। চোখের ভিতরের সাদা অংশ রং করিয়ে সবুজ করে নেন। এই সমস্ত অস্ত্রোপচারে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।
মানুষ নন, মেডুসা নিজেকে ‘ট্রান্স স্পিসিস’ মনে করেন। নিজের পরিচয় দেন ‘ড্রাগন লেডি’ হিসাবে। তাঁর বিশ্বাস, যাঁরা খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, এই পদক্ষেপ নাকি তাঁদের বেঁচে থাকার নতুন দিশা দেখাবে।
ছোটবেলাটাও খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না তাঁর। ‘দ্য উইজার্ড অফ অড’ নামে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের শৈশবের কথা শেয়ার করেন তিনি। তিনি জানান, মাত্র পাঁচ বছর বয়সে মা এবং সৎ বাবা তাঁকে ফেলে চলে যান। তিনি দুটো ডায়মন্ড র্যাটেল সাপকে নিজের মা-বাবা হিসাবে মানতে শুরু করেন। মেডুসার দাবি, ওই সাপ দুটোর সঙ্গেই শৈশবের অনেকগুলো বছরও কাটান তিনি।