International news

নিউজিল্যান্ডের সৈকতে উঠে এল প্রায় ৪০০ তিমি! ইতিমধ্যেই মৃত ২৫০

এক সঙ্গে ৪০০ তিমি আটকে গেল নিউজিল্যান্ডের গোল্ডেন বে সমুদ্র সৈকতে। যার মধ্যে ২৫০ তিমিকে ইতিমধ্যেই মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। বাঁচানোর চেষ্টা চলছে বাকিদের। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয় বার এরকম ঘটনা ঘটল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৬:০০
Share:

পড়ে রয়েছে তিমিগুলো।

এক সঙ্গে প্রায় ৪০০ তিমি আটকে গেল নিউজিল্যান্ডের গোল্ডেন বে সমুদ্র সৈকতে। যার মধ্যে ২৫০ তিমিকে ইতিমধ্যেই মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। বাঁচানোর চেষ্টা চলছে বাকিদের। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয় বার এরকম ঘটনা ঘটল। এতগুলো তিমির মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন প্রাণী বিজ্ঞানীরা।

Advertisement

নিউজিল্যান্ডে এ দৃশ্য অবশ্য একেবারে বিরল নয়। প্রতি বছরই নিউজিল্যান্ডের ওই সমুদ্রসৈকতে একাধিক তিমি আটকে পড়ে। গোল্ডেন বে-র আশেপাশের বাসিন্দাদের তাই তিমি উদ্ধারের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। কিন্তু এতগুলো তিমি এক সঙ্গে আটকে পড়ার ঘটনা এর আগে খুব একটা ঘটেনি। এর আগে মাত্র দু’বার এর থেকে বেশি তিমি ওঠার ঘটনা ঘটেছে। ১৯১৮ সালে এই সমুদ্রসৈকতেই ১০০০টি তিমি উঠে এসেছিল। তারপর ১৯৮৫ সালে অকল্যান্ডে ৪৫০টি তিমি উঠেছিল।

প্রাণী সংরক্ষণ দফতরের রেঞ্জার কাথ ইনউড জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই গোল্ডেন বে সমুদ্রসৈকতে এক সঙ্গে অনেকগুলো তিমিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল। এমন কিছু ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল তখন থেকেই। সেই মতো উদ্ধারকারী দলও তৈরি ছিল। শুক্রবার দেখা যায়, প্রায় ৪০০ তিমি সমুদ্রসৈকতে পড়ে রয়েছে। এ দিন ভোর থেকেই উদ্ধারকারী দল কাজ করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০ তিমিকে গভীর জলে পাঠানোও হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা পর যার মধ্যে আবার ৫০টি তিমি ফিরে এসেছে। অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি আটকে পড়া ২৫০টি তিমিকে।

Advertisement


বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।

কেন এমন হয়?

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, তিমি বা ডলফিনের মধ্যেই এই ধরনের ব্যবহার বেশি লক্ষ্য করা যায়। এমন ব্যবহারের কোনও নির্দিষ্ট কারণ সম্বন্ধে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে এর পিছনে বেশ কতগুলো সম্ভাব্য কারণ সামনে এনেছেন তাঁরা।

• মাঝসমুদ্র থেকে তুলনামূলক কম গভীরতায় তিমি সন্তান প্রসব করতে আসে। কিন্তু তুলনায় বেশি অগভীর জলে চলে এলে আটকে যায়।

• একই রকম ভাবে বয়স হয়ে গেলে অসুস্থ বা দুর্বল তিমিও সৈকতে এসে আটকে যায়।

তবে এই দুই ক্ষেত্রেই এতগুলো তিমির একসঙ্গে আটকে পড়াটা অসম্ভব। নিউজিল্যান্ডের এই ঘটনার পিছনে দিক নির্ধারণের ভুল বা একের বিপদে অনেকের ঝাঁপিয়ে পড়া দায়ী থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।

আরও পড়ুন: ধর্ষক, ধর্ষিতা এক সঙ্গে লিখলেন বই! এক মঞ্চে এলেন পাশাপাশি

অনেক সময়ই এক স্থান থেকে আর এক স্থানে যাওয়ার জন্য তিমি ভূচুম্বকীয় রেখা অনুসরণ করে থাকে। সেই রেখা সমুদ্রসৈকত বরাবর হলে তিমির দল সেখানে আটকে পড়ে। তিমির এই দলটির ক্ষেত্রেও এটা হতে পারে। অথবা এটা স্বজাতির বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ার ফলও হতে পারে। কারণ, প্রাণী বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, তিমি কোনও কারণে সমুদ্রসৈকতে আটকে পড়লে সাহায্যের জন্য বার্তা পাঠায়। যা শুনে অন্য তিমিরাও এগিয়ে আসে।

ছবি: রয়টার্স।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement