প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফের কন্যা মরিয়ম শরিফ। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তিনি। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফের কন্যা মরিয়ম শরিফ শিখদের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসে পড়শি দেশগুলির সঙ্গে সৌহার্দের বার্তা দিলেন। বললেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে লড়াই করা উচিত নয় পাকিস্তানের।’’ তাঁর বার্তায় ভারতের নাম না নিলেও কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, পরোক্ষে ভারতের সঙ্গেই শান্তিরক্ষার বার্তা দিয়েছেন মরিয়ম। এবং মরিয়মের এই বার্তার পিছনে তাঁর বাবা পিএমএল-এন প্রধান তথা তিন বারের পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ়ের ভূমিকা রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।
বৈশাখী উপলক্ষে এখন পাকিস্তানের করতারপুরে দরবার সাহেব গুরুদ্বার দর্শনে গিয়েছেন অন্তত ২৪০০ শিখ পুণ্যার্থী। যাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশই ভারতীয় পর্যটক। গত কাল ওই গুরুদ্বার দর্শনে যান মরিয়ম। সেখানেই তিনি ব্যাখ্যা করেন, পাক পঞ্জাব প্রদেশের সঙ্গে শিখদের সম্পর্ক কতটা গভীর। বছর পঞ্চাশের মরিয়ম এ-ও জানিয়েছেন, তিনি তাঁর মন্ত্রিসভায় প্রথম এক শিখ বংশোদ্ভূতকে স্থান দিয়েছেন। দরবার সাহেব গুরুদ্বার দর্শনে গিয়ে মরিয়ম বলেছেন, ‘‘আমার বাবা বলেন প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের কখনও লড়াই করা উচিত নয়। বরং তাদের জন্য আমাদের হৃদয় উন্মুক্ত করে দেওয়া প্রয়োজন।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমি যখন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হলাম, তখন ও-পারের পঞ্জাবি ভাইয়েরাও আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমি এক জন পাকিস্তানি, তবে সেই সঙ্গে এক জন খাঁটি পঞ্জাবিও বটে।’’
মরিয়ম মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০১৩ সালে করতারপুর করিডরের শিলন্যাস করেছিলেন তাঁর বাবাই। ২০১৯ সালে অবশ্য সেই করিডরের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে ইমরানের দলকে সেই কৃতিত্ব আদৌ দিতে চান না মরিয়ম। উল্টে তিনি জানিয়েছেন, এই প্রথম সরকারি স্তরে বৈশাখী উৎসব উদ্যাপিত হচ্ছে পাক পঞ্জাব প্রদেশে।