refugee

Refugee: ইটালিতে উদ্ধার শরণার্থী-দল

নিজ দেশে গৃহযুদ্ধ, অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সিরিয়া, লিবিয়ার বাসিন্দারা মাথা গোঁজার আশায় ইউরোপের পথ ধরেছেন গত কয়েক বছর ধরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রোম শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২১ ০৫:৪৬
Share:

ইটালির উপকূলে উদ্ধার শরণার্থীরা ছবি রয়টার্স।

সহায়-সম্বলহীন ছিন্নমূল শরণার্থীরা এই করোনাকালেও আশ্রয়ের খোঁজে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিচ্ছেন। গত কাল ইটালির উপকূলরক্ষী বাহিনী পাঁচশোর বেশি এমন অসহায় মানুষকে উদ্ধার করেছেন ভূমধ্যসাগর থেকে। তাঁরা বেআইনি ভাবে ইটালিতে ঢোকার জন্য লিবিয়া থেকে আসছিলেন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এক দিনে এত জন শরণার্থীকে আগে কখনও উদ্ধার করা হয়নি।

Advertisement

নিজ দেশে গৃহযুদ্ধ, অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সিরিয়া, লিবিয়ার বাসিন্দারা মাথা গোঁজার আশায় ইউরোপের পথ ধরেছেন গত কয়েক বছর ধরে। তেমনই পাঁচশোর বেশি মানুষকে গত কাল ধরে ফেলে ইটালির উপকূলরক্ষী বাহিনী।

ওই বাহিনীর তরফে পরে জানানো হয়েছে, ৫৩৯ জন শরণার্থী নিয়ে একটি মাছ ধরার নৌকা ইটালির লাম্পেডুসা দ্বীপের দিকে যাচ্ছিল। একটি নৌকায় ঠাসাঠাসি করে এত লোককে দেখে সন্দেহ হয় বক্ষীদের। উপকূলরক্ষীর জলযানটি ওই শরণার্থীদের নৌকার কাছে যাওয়া মাত্র জনাদশেক লোক সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ৫৩৯ জনের মধ্যে অনেক শিশু ও মহিলা রয়েছিলেন বলে রোম প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement

উপকূলরক্ষী বাহিনীর দু’টি জলযান এবং শুল্ক বিভাগের একটি নৌকায় করে ওই শরণার্থীদের লাম্পেডুসা দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গিয়ে সকলের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। অনেকের দেহেই মারের দাগ রয়েছে।

এক তদন্তকারী অফিসারকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যে শরণার্থীদের আটক করা হয়েছে, তাঁরা লিবিয়ায় মিথ্যা মামলায় জেলবন্দি ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শরণার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ইটালির পুলিশ। তাদের দাবি, শরণার্থীরা জানিয়েছেন, লিবিয়া উপকূল থেকে রওনা হয়ে ১৯ দিন তাঁরা সমুদ্র ঘুরপাক খাচ্ছিলেন।

গত মে মাসে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কয়েক হাজার শরণার্থী ওই দ্বীপে নেমেছিলেন। ওই দ্বীপটিতে শরণার্থীদের জন্য একটি শিবির রয়েছে। কিন্তু সেখানে তিনশোর মতো মানুষের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে লাম্পেডুসাতে দেড় হাজারের বেশি শরণার্থী রয়েছেন। অধিকাংশই থাকছেন ফুটপাতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement