ছবি সংগৃহীত।
গত এক বছরে বিশ্বের বহু দেশে স্বৈরাচারী শাসকদের আধিপত্য খানিকটা হলেও খর্ব হয়েছে। একইসঙ্গে জোরদার হয়েছে মানবাধিকার রক্ষার লড়াই। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষা নজরদার সংস্থার ৩২তম বার্ষিক রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে।
আমেরিকা থেকে ভারত—বিশ্বের বহু দেশে প্রত্যেক দিন যেখানে কট্টরপন্থীদের দাপাদাপি বাড়ছে, মহিলাদের নানা ভাবে হেনস্থা হতে হচ্ছে, রাজনৈতিক, জাতিবিদ্বেষ মাথাচাড়া দিচ্ছে সেখানে এই ধরনের একটি রিপোর্ট আশা জাগায় বৈকি। ১০০টি দেশ জুড়ে গত এক বছর ধরে তথ্য সংগ্রহ করেছে সংস্থাটি। তার ভিত্তিতেই ওদের এই দাবি।
সংস্থার এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর কেনেথ রথ লিখেছেন, ২০২১ সালে বেশ কিছু স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনেতা প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন। তাঁর আশা, বিশ্বের গণতান্ত্রিক নেতারা হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করলে স্বৈরতন্ত্র পিছু হটতে বাধ্য। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক বছরে বিভিন্ন দেশে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনেতার একবগ্গামি যে ভাবে বেড়েছে, তাতেই তাঁদের মরিয়া মনোভাব স্পষ্ট।
রথ বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে একটা ধারণা রয়েছে যে দিনে দিনে গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে আর বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে স্বৈরতন্ত্রের। কিন্তু গত ১২ মাসের ছবিটা উল্টো কথা বলছে। মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে যে ভাবে আওয়াজ উঠছে তাতে বোঝা যাচ্ছে স্বৈরতান্ত্রিকদের রাস্তা মোটেও গোলাপ বিছানো নয়।’’ এ প্রসঙ্গে উঠে এসেছে আফগানিস্তানে প্রাক-তালিবান জমানার কর্মী-আধিকারিকদের কী ভাবে খুঁজে বার করে অত্যাচার করা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে— উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গ।
তবে নজর এড়ায়নি ধূসরতাও। আমেরিকায় জাতিবিদ্বেষের কিছু ঘটনায় ন্যায়বিচার দিতে ব্যর্থ সরকার। কিছু জাতিবৈষম্যের ঘটনা, সংখ্যালঘুদের উপরে সামাজিক নিয়ন্ত্রণ, শরণার্থী সঙ্কট— সবই আলোচিত হয়েছে।