ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
সন্ত্রাসে রক্তাক্ত পশ্চিম আফ্রিকার বুরকিনা ফাসো। গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বে ১২২ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩১ জন মহিলা।
গত কাল বুরকিনা ফাসোয় সেনাবাহিনীর শিবিরে জোড়া হামলা চালায় সরকার-বিরোধীরা। হামলা চালানোর সময়ে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সাত জন সেনা। ৮০ জন বিক্ষোভকারীকে মেরে বুরকিনা প্রশাসনের দাবি, হামলার পিছনে রয়েছে আল কায়দা এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবাদীরা। তবে হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী।
বুরকিনা ফাসো প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কাল রাতে আরবিন্দ শহরে হামলা চালায় সরকার-বিরোধী গোষ্ঠী। তারা সেনা ঘাঁটিতে হামলা করতে গিয়েছিল মোটরবাইকে করে। জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করলে পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে এই গুলির লড়াই চলে। পরে সেই লড়াইয়ে যোগ দেয় বায়ুসেনাও। সেনাবাহিনীর প্রধান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘বিপুল সংখ্যক জঙ্গি একযোগে সেনা ঘাঁটি ও সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালিয়েছে।’’ যোগাযোগ মন্ত্রী তথা সরকারের মুখপাত্র পরে জানান, যে ৩৫ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৩১ জন মহিলা। সংঘর্ষে ২০ জন জওয়ান ও সাত জন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন।
এই হামলাকে ‘বর্বরোচিত’ বলে বর্ণনা করে বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট রোশে মার্ক টুইট করেছেন, ‘‘সেনাবাহিনী বীরত্ব ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।’’ দু’দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন তিনি।
এক সময়ের নিরুপদ্রব বুরকিনা ফাসো ২০১৫ সাল থেকে অশান্ত হয়ে উঠতে শুরু করে। কয়েক বছরে অসংখ্য সংঘর্ষে ৭০০ জন নিহত হয়েছেন। অন্তত সাড়ে পাঁচ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিবাহিনী।