প্রতীকী চিত্র।
তালিবানের কবলে পড়া কাবুলের আকাশপথে ঢুকতে পারছে না বহু দেশ। এ বার ভারতের আকাশ থেকেও এক-এক করে বিদেশি বিমান মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারে বলে আশঙ্কা ঘনিয়ে উঠেছে। সেটা হলে অচিরেই বড়সড় আর্থিক লোকসানের মুখে পড়তে পারেন বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষের এক কর্তা জানান, কিছু বিদেশি উড়ান তাদের রুট বদলে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এত দিন বেশ কিছু উড়ান কলকাতায় ঢুকে দিল্লি হয়ে পাকিস্তান, আফগানিস্তান পেরিয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় উড়ে যেত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আফগানিস্তানের আকাশে আর ঢুকতে পারছে না বিদেশি বিমান।
আপাতত দিল্লির উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া (‘ওভারফ্লাইং’) বিমান পাকিস্তানের আকাশ হয়ে কাবুলে না-ঢুকে অন্য দিকে ঘুরে যাচ্ছে। এর আগে বালাকোট অভিযানের সময় পাকিস্তানের আকাশ এলাকা যখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তখন দিল্লিতে ওভারফ্লাইং উড়ানের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। তুলনায় ভিড় বেড়েছিল মুম্বইয়ে। বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষের এক কর্তা বলেন, “এ বার অবশ্য এখনও ততটা খারাপ অবস্থা হয়নি। কিন্তু অনির্দিষ্ট কাল ধরে আফগানিস্তানের আকাশ বন্ধ থাকলে কী হবে, সেটা কিন্তু বলা মুশকিল।”
কর্তৃপক্ষের অন্য এক কর্তা জানান, করোনার আগে যত বিদেশি উড়ান প্রতিদিন দিল্লির আকাশ পেরিয়ে পাকিস্তানে যেত, এখন যাচ্ছে প্রায় ৪০ শতাংশ। সেই সংখ্যাটাও ছিল প্রায় ৫০০-র কাছাকাছি। ইতিমধ্যেই ভারতের আকাশ ছেড়ে অনেক বিমান চিনের আকাশ দিয়ে ইউরোপ-আমেরিকা উড়ে যাচ্ছে। ‘‘ওভারফ্লাইং বিমানকে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) পরিষেবা দিয়ে মোটা টাকা রোজগার করে ভারত সরকার। এমনিতেই কিছু বিদেশি উড়ান চিনের আকাশ ব্যবহার করায় সেটা কমেছে। কাবুলের কারণে আবার যদি অনেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তা হলে সেই রোজগার আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে,” বলেন ওই কর্তা।
উড়ান শিবির সূত্রের খবর, কাবুলের আকাশ এলাকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক বিদেশি সংস্থা তাদের উড়ান একেবারে বাতিল করে দেওয়ার কথাও ভাবছে। এমনিতেই করোনার ফলে উড়ান সংস্থাগুলি ভয়ঙ্কর লোকসানের মুখে। তার উপরে রুট বদল করতে হলে অতিরিক্ত জ্বালানি লাগবে। তাতে লোকসান বাড়বে।