প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কি কল্পতরু? ছবি রয়টার্স
তিনি মানুন বা না মানুন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর সময়সীমা শেষের পথে। যেহেতু আর খুব অল্প সময়ের জন্য তিনি ওই পদে রয়েছেন, তাই অনেকেই চাইছে শেষ মুহূর্তে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাদের ‘ক্ষমা’ করে দিন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদের মধ্যে যেমন দাগি অপরাধী রয়েছে, তেমনই রয়েছেন কিছু তদন্তাধীন ব্যবসায়ী। এই সব ব্যবসায়ী বা কর্পোরেট কর্তার বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে তদন্ত চলছে। হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে ট্রাম্পের হার নিশ্চিত হতেই প্রেসিডেন্টের দফতরে ফোন এবং ই-মেলের বন্যা। সকলেরই দাবি, প্রেসিডেন্ট তাঁর বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাদের ক্ষমা করে দিন।
সম্প্রতি, আমেরিকার প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এবং একদা তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে ক্ষমা করে দেন ট্রাম্প। রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা এবং সে বিষয়ে এফবিআই ও ট্রাম্প প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ছিল ফ্লিনের বিরুদ্ধে। যে কারণে তাঁকে পদ থেকে সরিয়েও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বিদায়বেলায় সেই ফ্লিনকে ক্ষমা করে দেন প্রেসিডেন্ট। এর পর থেকেই ট্রাম্পের দফতরে ‘ক্ষমা প্রার্থনা’র জন্য ফোন এবং ই-মেলের বন্যা।
হোয়াইট হাউসে এই বিভাগের এক কর্তা সিএনএনকে বলেছেন, ‘‘প্রচুর আবেদন জনা পড়ছে। কী রকম পাগলপাগল লাগছে!’’
আরও পড়ুন: বাড়িতে বসে শপথ দেখুন, দেশবাসীকে আর্জি বাইডেনের
এই মুহূর্তে দু’ডজনেরও বেশি আবেদন ট্রাম্পের দফতরে জমা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই দুই দাগি অপরাধী অ্যালিস জনসন এবং ডিউক টার্নার হোয়াইট হাউসে ক্ষমা প্রার্থনা করে হলফনমা দাখিল করেছে। ক্ষমতায় এসে এই দু’জনের জেলের মেয়াদ কমিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ বার ওই দু’জন পুরোপুরি ক্ষমা প্রার্থনা করেছে।
শোনা যাচ্ছে, ট্রাম্পের ব্যবসায়িক সংস্থা ‘ট্রাম্প অরগানাইজেশন’-এর চিফ ফিন্যানশিয়াল অফিসার অ্যালেন উইসেলবার্গকেও ‘ক্ষমা’ করে দিতে পারেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্পোটের সংস্থাকে ‘মুখবন্ধ রাখার জন্য ঘুষ’ দেওয়ার অভিযোগ ছিল। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময় আমেরিকার বহু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়া-সহ নানা বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁরাও এক এক করে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আবেদন করেছেন ট্রাম্পের কাছে।
আরও পড়ুন: বিমান থেকে মাটিতে পড়েও অটুট আইফোন! উঠল পতনের ভিডিয়োও