ছবি রয়টার্স
পালিয়ে যাতে অন্তত প্রাণে বাঁচতে পারে, সে জন্য কাবুল বিমানবন্দরের বাইরেই বাড়ির মেয়েদের জোর করে বিয়ে দিয়েছে বহু আফগান পরিবার। ছদ্মবেশী স্বামীর সঙ্গে বিমানে উঠে দেশ ছেড়েছেন বহু আফগান মহিলা। এমনটাই দাবি করা হল আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি যে সব আফগান দীর্ঘ দু’দশক ধরে আমেরিকার সেনাকে নানা ভাবে সাহায্য করেছেন, যাঁরা দোভাষীর কাজ করেছেন, মূলত তাঁদেরই আশ্রয় দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বাইডেন প্রশাসনের। যে আফগান পুরুষরা আমেরিকার বিমানে ওঠার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গেই বিয়ে দেওয়া হয়েছে আফগান মেয়েদের। মেয়ের পরিবারের তরফ থেকে প্রচুর টাকাও দেওয়া হয়েছিল ওই ছদ্মবেশী স্বামীদের। এমনটাই দাবি করা হল আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে।
সেই সময়ে কাবুল থেকে আমেরিকার অনেক বিমানই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিমানবন্দরে এসে থেমেছিল। সেখানেই এই ধরনের একাধিক ঘটনা আমেরিকার নিরাপত্তা আধিকারিকদের নজরে আসে। বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
গত ১৫ অগস্ট তালিবান বাহিনী কাবুল দখল করার পর থেকেই দেশে ছেড়ে পালাতে চেয়ে রাজধানী শহরের বিমানবন্দরের ভিড় জমিয়েছিলেন বহু আফগান, বিশেষত মেয়েরা। তাঁরা যে ঠিক কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন, তার অজস্র প্রমাণ মিলেছে সাম্প্রতিক কালে। তালিবানি শাসনে থাকার চেয়ে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও বিমানের চাকা ধরে ঝুলে পড়া শ্রেয় মনে করেছেন অনেকে। আফগান মহিলাদের দুর্দশার আরও একটি দৃষ্টান্ত উঠে এল আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে।