প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নিজের জীবন বাজি রেখে পুত্রকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়ে আনলেন এক ব্যক্তি। বাবার সঙ্গে সমুদ্রে মাছ ধরছিল বছর ষোলোর এক কিশোর। একটি বিশাল হাঙর তাঁদের নৌকার সামনে চলে আসে। বিশালাকায় ‘গ্রেট হোয়াইট শার্ক’ দেখে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল কিশোর। হাঙরটির ছবি এবং ভিডিয়ো করছিল সে। কিন্তু সেই সময়েই আচমকা কিশোরের উপর হামলা করে হাঙরটি। ঘটনাটি দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার।
নিউজ়উইক-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার সমুদ্রোপকূল থেকে দু’মাইল দূরে পুত্র নাথান নেসকে নিয়ে নৌকা করে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন মাইকেল নেস। সেই সময় একটি হাঙর দেখতে পায় নাথান। কাছ থেকে বিশালাকার সেই প্রাণীকে দেখে অত্যুৎসাহী হয়ে পড়েছিল সে। মোবাইলে সেই হাঙরের ছবি এবং ভিডিয়ো করতে শুরু করে। তখনই হাঙরটি হামলা চালায়। নাথানের পা ধরে টেনে নিয়ে যায় হাঙরটি। এই দৃশ্য দেখে পুত্রকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দেন মাইকেলও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাইকেল বলেন, “ছেলেকে হাঙরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, চোখের সামনে এ দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিলাম। এক মুহূর্ত দেরি না করে জলে ঝাঁপ দিই। তার পর হাঙরের মুখ থেকে ছেলেকে ছিনিয়ে নিয়ে আসি।” মাইকেলের আরও দাবি, নাথানের পা হাঙরের চোয়ালের মাঝে আটকে ছিল। হাঙরের চোয়ালে আঘাতের পর আঘাত করেন তিনি। তার পরই হাঙরটি নেসকে ছেড়ে দেয়। পুত্রকে বাঁচাতে বেশ কিছু ক্ষণ ওই ‘জলদানব’-এর সঙ্গে লড়াই চালিয়েছিলেন বলে দাবি মাইকেলের।
নাথানের পায়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নিজেদের নৌকায় নিয়ে আসেন। তার পর উদ্ধারকারীদের খবর দেন মাইকেল। নাথানকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।