প্রতীকী ছবি।
দ্বিতীয় বার কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে এল হংকংয়ে। সেখানকার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর ফের আক্রান্ত হয়েছেন এক ব্যক্তি।
গত মার্চে ওই ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুস্থও হওয়ার পর স্পেন সফরে যান। অগস্টের মাঝামাঝি সেখান থেকে ফিরে আসেন। তার পরই ওই ব্যক্তির শরীরে কোভিডের উপসর্গ ধরা পড়ে বলে জানিয়েছেন মাইক্রোবায়োলজিস্ট কেলভিন কাই-ওয়াং।
তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথমবার যখন ওই ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তখন তাঁর মৃদু উপসর্গ ধরা পড়েছিল। কিন্তু এ বার তাঁর কোনও উপসর্গই ধরা পড়েনি। হংকং বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং টেস্টের সময়ই জানা যায় ওই ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত।
কাই-ওয়াং জানিয়েছেন, একই ব্যক্তি দ্বিতীয় বার কী ভাবে আক্রান্ত হলেন তা নিশ্চিত হতে তাঁর জিনের পরীক্ষা করা হয়। তখন দেখা যায়, ওই ব্যক্তির শরীরে দানা বেধেছে কোভিডের নতুন স্ট্রেন। এ ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করে ওয়াং বলেন, “এর থেকে স্পষ্ট যে অনেক মানুষের দেহে কোভিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। জানি না, এর ফলে কত মানুষ পুনরায় কোভিড আক্রান্ত হবেন!”
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেশি
কোনও ব্যক্তি যদি দ্বিতীয় বারের জন্য কোভিড আক্রান্ত হন, তা হলে পরবর্তী কালে গুরুতর কোনও অসুখ হলে তাঁদের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা কাজ করবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন হংকংয়ের বিজ্ঞানীরা। তবে কোভিডে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের সঙ্গে সমঝোতা না করা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং মাস্ক পরার পরামর্শই দিচ্ছেন ওই বিজ্ঞানীরা।
মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রাক্তন প্রধান জেসি গুডম্যান এই বক্তব্যের সমর্থন করে বলেছেন, “আমরা জানিই যে পুনরায় সংক্রমণের একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে রোগীর দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা তাঁকে পুনরায় সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। তবে যদি সাধারণ কোনও সংক্রমণেই প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তা হলে প্রতিষেধকও একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে সেই সংক্রমণের কাছে।”