৯১১-য় ফোন করে এক মহিলা আতঙ্কিত ভাবে জানিয়েছিলেন, নিউ ইয়র্কের রাস্তায় রুপোলি বন্দুক হাতে এক ব্যক্তি লোকজনকে ভয় দেখাচ্ছেন। যে কোনও মুহূর্তে তিনি গুলি চালিয়ে দিতে পারেন বলে ফোনে আশঙ্কাই করেছিলেন ওই মহিলা।
ফোন পেয়ে আর দেরি করেনি পুলিশ। ক্রাউন হাইটস এলাকায় ছুটে যায় তারা। রুপোলি লম্বা একটা বন্দুকের মতো জিনিস পুলিশের দিকেও তাক করেছিলেন ওই যুবক। দেখা মাত্র পর পর দশ বার গুলি করা হয় তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের। পুলিশ পরে তাঁর দেহের কাছে গিয়ে দেখে, যে জিনিসটি এত ক্ষণ তাক করে লোকজনকে তিনি ভয় দেখাচ্ছিলেন, সেটি আসলে একটি রুপোলি সরু ধাতব পাইপ। আগ্নেয়াস্ত্র নয়। নিরস্ত্র ওই কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে এ ভাবে মারার জন্য নিউ ইয়র্কের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী।
নিউ ইয়র্ক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিহতের বাবা ছেলের দেহ শনাক্ত করেছেন। নিহত যুবকের নাম সাহিদ ভাসেল। বছর ৩৪-এর ওই যুবক ছ’বছর বয়সে জামাইকা থেকে আমেরিকায় এসেছিলেন। পুলিশকে তাঁর বাবা জানিয়েছেন, শাহিদের ‘বাইপোলার ডিজঅর্ডার’ রয়েছে। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। রুপোলি ওই জিনিসটি আসলে আগ্নেয়াস্ত্র কি না, তা যাচাই না করে এ ভাবে কেন গুলি করা হল সাহিদকে? মুখ খোলেননি পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। তাঁরা শুধু জানিয়েছেন, সে সময় ঘটনাস্থলে উর্দি পরা দু’জন আর সাদা পোশাকের তিন জন পুলিশ হাজির ছিলেন। তাঁরাই গুলি চালান শাহিদের উপর।