Chinese

China: লাইভস্ট্রিমিং চলাকালীন স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুন, অভিযুক্ত ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড চিনে

সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভস্ট্রিমিং চলাকালীন স্ত্রীর গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারার অপরাধে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল চিনের আদালত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২২ ০৮:১০
Share:

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তাং লু। ডান দিকে, হামো। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া ছবি সংগৃহীত

সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভস্ট্রিমিং চলাকালীন স্ত্রীর গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারার অপরাধে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল চিনের আদালত।

Advertisement

গত শনিবার চিনের সিচুয়ান প্রদেশে ওই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। ছোট্ট বিবৃতিতে সরকারি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি যে ধরনের অপরাধ করেছে, তার জন্যে চূড়ান্ত শাস্তিই তার প্রাপ্য।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে ঘটনার সূত্রপাত। বিয়ের পর থেকেই তাং লু নামে ওই ব্যক্তি তার স্ত্রী হামোকে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ। ২০২০ সালের জুনে তাঁদের আইনি বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার পর থেকে হামোকে ফের বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে শুরু করে তাং। বছর তিরিশের হামো প্রতি বারই তাংকে ফিরিয়ে দেন। কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত হামো সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা বিষয়ে লাইভস্ট্রিমিং করতেন। প্রত্যাখ্যাত তাং সে বছর সেপ্টেম্বরে এক দিন জোর করে হামোর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। হামো সে সময়ে লাইভ স্ট্রিমিং করছিলেন। স্ট্রিমিং-এর মাঝে তাং তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় হামোকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সপ্তাহ খানেক পরে তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

এই ঘটনায় চিন-সহ গোটা বিশ্বে বিক্ষোভের ঝড় ওঠে। মহিলাদের নিরাপত্তা ঘিরে বিশ্বের সামনে মুখ পোড়ে চিনেরও। ২০০১ সাল পর্যন্ত চিনের আইনে গার্হস্থ্য হিংসাকে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য পর্যাপ্ত কারণ বলে গণ্য করা হত না। ২০১৫ সালে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি, মানসিক নির্যাতনও গার্হস্থ্য হিংসা সংক্রান্ত আইনের আওতায় আসে। বহু ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, নির্যাতিতাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকার। হামোর মৃত্যুর পরে গ্রেফতার করা হয় তাংকে। গত বছর অক্টোবরে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement