—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বিমানে মৃত্যু হল ৬৩ বছরের এক বৃদ্ধের। স্ত্রীর সঙ্গে বিমানে উঠেছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রথম থেকেই তাঁকে দেখে অসুস্থ মনে হচ্ছিল। বিমান আকাশে উড়লে অসুস্থতা বেড়ে যায়। একসময়ে নাক-মুখ থেকে রক্ত বেরিয়ে মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের।
তাইল্যান্ড থেকে জার্মানির মিউনিখ শহরে যাচ্ছিল লুফ্ৎহানসা এয়ারলাইন্সের বিমানটি। তাতেই ছিলেন বৃদ্ধ। তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি বিমান সংস্থার তরফে। নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যরাতের কিছু আগে বিমানটি তাইল্যান্ড থেকে রওনা দিয়েছিল। ওই বৃদ্ধের গন্তব্য ছিল মিউনিখ। তিনি সেখানকারই বাসিন্দা।
বিমানে ওই বৃদ্ধের সহযাত্রী তথা প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিমানে ওঠার পর থেকেই বৃদ্ধকে অসুস্থ মনে হচ্ছিল। তিনি জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছিলেন। ঘন ঘন ঘামছিলেন। বিমান ছাড়ার কিছু ক্ষণ পরে তাঁর অসুস্থতা বেড়ে যায়। একসময়ে নাক এবং মুখ থেকে গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে বৃদ্ধের।
প্রত্যক্ষদর্শীর আরও দাবি, বৃদ্ধের মুখ থেকে যে রক্ত বেরোচ্ছিল, তা ছিটকে বিমানের জানলা এবং দেওয়ালে লাগছিল। অন্য যাত্রী এবং বিমানকর্মীরা তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে যান। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। আধ ঘণ্টা ওই বৃদ্ধের মুখ থেকে রক্ত বেরিয়েছিল। তার পর মাঝ আকাশেই তাঁর মৃত্যু হয়। পাইলট তাঁর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেন।
যাত্রীর মৃত্যু হওয়ায় বিমানটি আবার তাইল্যান্ডে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বেশি রাতে আর একটি বিমানে যাত্রীদের জার্মানি পৌঁছনোর বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। বিমান সংস্থার তরফে এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে।