ভারতে আসছেন শেখ হাসিনা। — ফাইল চিত্র।
গত মাসেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, আসন্ন ভারত সফরে তাঁর সঙ্গে মমতার দেখা হবে বলে তিনি আশাবাদী।
বৃহষ্পতিবার বাংলাদেশ এবং ভারত উভয় পক্ষই হাসিনার আসন্ন সফরসূচি ঘোষণা করল। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মমতাকে। যে হেতু এ’টি শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফর, ফলে কেন্দ্রের বিনা আমন্ত্রণে মমতা দিল্লি এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেন না।
হাসিনা আসছেন ৫ তারিখ বিকেলে। ফলে মাঝে তিন দিন রয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রতিনিধি দলের কারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন, অথবা সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, তা যথাসময়ে জানানো হবে। প্রসঙ্গত, হাসিনা চান মমতার সঙ্গে মুখোমুখি বসে কথা বলতে। তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা কিছুটা এগোলেও ঘরোয়া রাজনীতিতে তা আওয়ামী লীগের পক্ষে লাভের।
আজ জানানো হয়েছে, হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি দেখা করবেন রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে। তাঁর অজমের শরিফেযাওয়ারও কথা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সিআইআই আয়োজিত একটি বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেবেন। মুক্তিযুদ্ধে নিহত এবং গুরুতর আহত ২০০ জন ভারতীয় সেনার উত্তরসুরিদের ‘মুজিব স্কলারশিপ’ দেওয়ারও কথা রয়েছে হাসিনার।