Maldives Controversy

চিনের আগে নাকি ভারতে আসতে চান মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট, দিল্লির ‘ডেট’ না পেয়ে যান অন্য দেশে

মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসাবে মহম্মদ মুইজ্জু শপথ গ্রহণ করেন গত ১৭ নভেম্বর। তার আগেই তিনি ভারতে আসতে চেয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। তবে দিল্লির তরফে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫৮
Share:

মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ়ু। —ফাইল চিত্র।

মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু এখন চিনে। সপ্তাহব্যাপী এই চিন সফরের আগে তিনি ভারতে আসতে চেয়েছিলেন। মলদ্বীপের তরফে দিল্লিতে সেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। গত বছরের ডিসেম্বরেই ভারত সফরের কথা ছিল মুইজ্জুর। সেখান থেকে চিনে যেতেন তিনি। তবে দিল্লির তরফে ডিসেম্বরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের জন্য কোনও তারিখ নিশ্চিত করা হয়নি। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-র একটি প্রতিবেদনে এই দাবি করে জানানো হয়েছে, তারিখ নিশ্চিত না হওয়াতেই মুইজ্জু আসেননি ভারতে। পরিবর্তে অন্য এক দেশে গিয়েছিলেন তিনি। তার পর যান চিনে।

Advertisement

মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসাবে মুইজ্জু শপথ গ্রহণ করেন গত ১৭ নভেম্বর। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের আগেই তাঁর ভারত সফরের প্রস্তাব দিয়েছিল মলদ্বীপ। এখনও ভারত থেকে নির্দিষ্ট করে কোনও সময় জানানো হয়নি সে দেশের সরকারকে।

প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথের পরেই মুইজ্জু প্রথম যান তুরস্কে। সেখানে তাঁর যাওয়ার বিষয়টি আগে থেকেই ঠিক হয়ে ছিল। ভারত যদি মলদ্বীপ প্রেসিডেন্টের সফরের প্রস্তাব স্বীকারও করে নিত, তা হলেও প্রেসিডেন্ট হিসাবে মুইজ্জুর প্রথম গন্তব্য ভারত হত না। প্রথম গন্তব্য হত তুরস্কই। তুরস্ক থেকে ফিরে তিনি ভারতে আসতেন। তার পর যেতেন চিনে। ভারত থেকে সফরের নিশ্চয়তা না মেলায় মুইজ্জু যান সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে।

Advertisement

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণেই ২৬ নভেম্বর সেখানে গিয়েছিলেন মুইজ্জু। তার পর সেখান থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের আবহাওয়া পরিবর্তন সংক্রান্ত কনফারেন্সে যোগ দিতে তিনি ৩০ নভেম্বর যান সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে।

কিছু দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লক্ষদ্বীপ সফরকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। ওই সফরে থাকাকালীন মোদীর কিছু ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাকে কেন্দ্র করে মলদ্বীপের তিন জন মন্ত্রী বিদ্রুপ করেন বলে অভিযোগ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রীদের ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ভারতের সমাজমাধ্যমে বিতর্কের ঝড় ওঠে। মলদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেন নেটাগরিকদের একাংশ। বিতর্ক জোরালো হলে মলদ্বীপ ওই তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করে। তবে তাতেও লাভ হয়নি। ‘বয়কট মলদ্বীপ’ এক্স হ্যান্ডেলে ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement