মহম্মদ মুইজ্জু। —ফাইল চিত্র।
ফের বিতর্কে জড়িয়ে সংবাদ শিরোনামে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনল বিরোধী দলগুলি। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মুইজ্জু। সামনেই মলদ্বীপের সংসদীয় নির্বাচন। প্রচারে ঝড় তুলেছে শাসক, বিরোধী সব দলই। বিরোধীদের প্রচারে প্রাধান্য পাচ্ছে মুইজ্জুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগই। এ ক্ষেত্রে তাদের হাতিয়ার ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি রিপোর্ট।
মলদ্বীপের অর্থনৈতিক বিষয়ে নজরদারি চালানো সরকারি সংস্থা ‘মলদ্বীপস মানিটারি অথোরিটি’র গোয়েন্দা শাখা এবং ‘মলদ্বীপ পুলিশ সার্ভিস’ যৌথ ভাবে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। কিছু দিন আগে একটি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে সেই রিপোর্ট ফাঁস হয়ে যায়। ওই রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সেখানে লেখা হয়, ২০১৮ সালে প্রশাসনের একাধিক স্তরে দুর্নীতি হয়। মুইজ্জুই ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও নাকি ‘অসঙ্গতি’ লক্ষ্য করা যায়। টাকা তছরুপ-সহ মোট ১০টি বিষয়ে দুর্নীতির কথা বলে হয়েছে ওই রিপোর্টটিতে।
‘চিন-ঘেঁষা’ নীতি এবং তীব্র ‘ভারত-বিরোধী’ অবস্থান নেওয়ার জন্য আগেই মলদ্বীপের বিরোধী দলগুলির সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মুইজ্জু। কোনও কোনও বিরোধী দল তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারণ (ইমপিচমেন্ট) করার দাবি তুলেছিল। দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখে সেই দাবি ফের প্রকাশ্যে আনছে তারা। ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রধান দুই বিরোধী দল এমডিপি এবং পিএনএফ এই ‘দুর্নীতি’ নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছে। আরও এক ধাপ এগিয়ে মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ জামিল আহমেদ মুইজ্জুকে অপসারণ করার দাবি তুলে তুলেছেন।
যদিও অভিযোগের প্রেক্ষিতে মলদ্বীপের একটি নিউজ় ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুইজ্জু বলেছেন, “আমি যখন মেয়র এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ি, তখনও এই সমস্ত কথা বলা হয়েছিল।” বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “পারলে দুর্নীতি প্রমাণ করে দেখাক ওরা।”