মলদ্বীপকে দেওয়া ভারতীয় বিমান। ছবি সংগৃহীত।
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর অনুরোধে সে দেশে থাকা ভারতীয় সেনাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে ভারতে। কিন্তু তার পরই সমস্যায় পড়েছে মুইজ্জু সরকার। ভারতের উপহার দেওয়া তিনটি বিমান ওড়ানোর মতো উপযুক্ত সেনাকর্মী নেই মলদ্বীপের সামরিক বাহিনীতে! এমনই জানালেন খোদ সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘাসান মৌমুন।
রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই মুইজ্জু ঘোষণা করেন মলদ্বীপের ভূখণ্ডে কোনও ভারতীয় সেনা থাকবে না। ভারত সরকারকে অনুরোধ করেন সেনা প্রত্যাহারের জন্য। সেই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর নরেন্দ্র মোদী সরকার মেনে নেয় মুইজ্জুর অনুরোধ। তার পর মলদ্বীপ থেকে ধাপে ধাপে ৭৬ জন সেনাকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়।
এই সেনা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরেই নিজেদের সমস্যার কথা জানান মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের দেওয়া তিনটি বিমান ওড়ানোর জন্য আমাদের সেনাবাহিনীতে কোনও দক্ষ পাইলট নেই। ওই বিমান ওড়ানোর জন্য আমাদের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছিল। এই প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে একাধিক পর্যায় রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়নি।’’
উল্লেখ্য, দু’টি হেলিকপ্টার এবং ডোর্নিয়ার বিমান পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভারতীয় সেনারা মলদ্বীপে অবস্থান করেছিল। যা ভারতের তরফেই দ্বীপরাষ্ট্রকে উপহার দেওয়া হয়েছিল। তবে দেশের মানুষের কাছে মলদ্বীপ থেকে ভারতের সেনা সরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুইজ্জু। মলদ্বীপে মোতায়েন করা ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি দল গত ৯ এপ্রিল দেশে ফিরে এসেছে। মলদ্বীপে একটি বিশেষ হেলিকপ্টার পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা। এর পর আর একটি দলেরই ভারতে ফিরে আসা বাকি ছিল। মুইজ্জুর কার্যালয়ের মুখপাত্র হিনা ওয়ালিদ একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, ১০ মে-র আগেই তাঁরাও মলদ্বীপ ছেড়েছেন।