(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা এবং মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান (ডান দিকে)। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগেই বড় ধরনের রদবদল হল বাংলাদেশ সেনায়। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিনের অনুমোদনে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এই রদবদলের নির্দেশ কার্যকর করেছেন।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অপসারিত এবং বদলি হওয়া অফিসারদের অধিকাংশই সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। আইএসপিআর-এর বিবৃতি জানাচ্ছে, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, মেজর জেনারেল জিয়াউলের বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতা এবং গুপ্তহত্যায় হাসিনাকে মদত দেওয়ার সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়া ও বিরোধী নেতারা।
এর পাশাপাশি, সরাসরি সেনার নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদেও পাঠানো হয়েছে কয়েক জন শীর্ষস্তরের অফিসারকে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ সাইফুল আলমকে সেনা থেকে সরিয়ে পাঠানো হয়েছে বিদেশ দফতরে! আর এক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ মজিবুর রহমানকে জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামিমকে সেনাবাহিনীর চিফ অফ জেনারেল স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহিনুল হককে কমান্ড্যান্ট এনডিসি (ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ) এবং মেজর জেনারেল এএসএম রিজওয়ানুর রহমানকে এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার)-র ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকায়।