প্রতীকী ছবি।
পাইলটের উপস্থিত বুদ্ধি ও চূড়ান্ত তৎপরতায় মাঝ আকাশে বীভৎস দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল দুটি বিমান। সোমবার ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় কার্যত মুখোমুখি এসে পড়ে শ্রীলঙ্কার সরকারি বিমানসংস্থা ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের দুটি বিমান। দুটি বিমানের মধ্যে দূরত্ব কমতে কমতে এসে ঠেকে মাত্র ১৫ মাইলে। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে বিমান দু’হাজার ফুট নামিয়ে আনেন শ্রীলঙ্কার বিমানের পাইলট। এড়ানো যায় আকাশে দুই বিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষ। প্রাণ বেচে যায় পাঁচশোরও বেশি যাত্রীর।
সোমবার ইংল্যান্ডের হিথরো থেকে ২৭৫ জন যাত্রী নিয়ে শ্রীলঙ্কার কলম্বোর উদ্দেশে পাড়ি দেয় ইউএল ৫০৪। তুরস্কের আকাশসীমায় ঢোকার সময় বিমানটি উড়ছিল ৩৩ হাজার ফুট উচ্চতায়। আঙ্কারার ‘এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)’ থেকে শ্রীলঙ্কার বিমানকে বলা হয় ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠতে। এ দিকে তখন ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ২৫০ জন যাত্রী নিয়ে এগিয়ে আসছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমান। দু’টি বিমানের মধ্যে তখন দূরত্ব মাত্র ১৫ মাইল। এ দিকে এটিসি থেকে ক্রমাগত শ্রীলঙ্কার বিমানটিকে ৩৫ হাজার ফুটে উঠতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ককপিটে বসে শ্রীলঙ্কার বিমানের পাইলট বুঝতে পারেন, এটিসির নির্দেশ মানলে দুর্ঘটনা অবশ্যম্ভাবী। এটিসির নির্দেশ অমান্য করে ৩৩ হাজার ফুটেই উড়তে থাকে ইউএল ৫০৪। এক চুলের জন্য ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
ব্যাপার বুঝতে কিছুক্ষণ সময় লাগে আঙ্কারার এটিসির। কী হল, তা বোঝার পর অবশ্য এটিসি থেকে ধন্যবাদ দেওয়া হয় শ্রীলঙ্কার বিমানের পাইলটদের। নিরাপদে বিমান নিয়ে কলম্বোর বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর ইউএল ৫০৪-এর পাইলটদের সংবর্ধনা জানানো হয়।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।