Lord Ram

নেপালের মানচিত্রে এ বার রামজন্মভূমিকেও ঢুকিয়ে ফেললেন ওলি

তিনি বলেন, “নেপালের জেলা বীরগঞ্জ থেকে সামান্য পশ্চিমে ছোট গ্রাম অযোধ্যা।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাঠমাণ্ডু শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২০ ১২:৩৯
Share:

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। ফাইল চিত্র।

ভারতের জমিকে নেপালের ভূখণ্ডের বলে দাবি করে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। এ বার ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম ‘অ্যাজেন্ডা’ রামজন্মভূমিকেও নেপালের বলে দাবি করে ফের বিতর্ক উসকে দিলেন তিনি। বললেন, “ রাম এক জন নেপালি। ভারতে নয়, রামের আসল জন্মভূমি অযোধ্যাও নেপালে। কাঠমাণ্ডুর কাছে সেই ছোট্ট গ্রাম অযোধ্যা। সেখানেই জন্ম হয়েছিল রামের।”

Advertisement

ওলি আরও বলেন, “আমরা এখনও বিশ্বাস করি যে সীতা আমাদের দেশের, রামও এই দেশের। যে অযোধ্যায় রাম জন্মেছিল সেই গ্রাম নেপালে, ভারতে নয়। নেপালের জেলা বীরগঞ্জ থেকে সামান্য পশ্চিমে ছোট গ্রাম অযোধ্যা।” নেপালি ওয়েবসাইট সেতোপতি ডট কম ওলির অভিযোগকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, নেপালের সংস্কৃতিকে দমিয়ে রাখা হয়েছে। দেশের সংস্কৃতিতে জোর করে অনুপ্রবেশের ঘটনাও ঘটেছে।

সংবাদ সংস্থা এএনএআই নেপালের সংবাদমাধ্যমের সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ওলি দাবি করেছেন, “আসল অযোধ্যা ভারতে নয়, নেপালে। রাম ভারতীয় নন, তিনি এক জন নেপালি।”

Advertisement

আরও পড়ুন: অনেক দেশ ভুল পথে হাঁটছে, ফল মারাত্মক হবে, সতর্কবার্তা হু প্রধানের

ভারতীয় ভূখণ্ডকে নেপালের বলে দাবি করায় ভারতের সঙ্গে একটা টানাপড়েন চলছিলই। উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস, লিম্পিয়াধুরা এবং কালাপানি এলাকাকে নেপাল তাদের মানচিত্রে নিজেদের বলে দাবি করেছে। গত মাসেই সংসদে মানচিত্রের সংশোধনী সর্বসম্মতভাবে আইনসভায় পাশ করায় নেপাল সরকার। নেপালের এই দাবির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানোর পাশাপাশি, তাদের দাবিকে খারিজও করে দিয়েছে ভারত সরকার। ভারত সরকারের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, “ভারতের এই অবস্থান সম্পর্কে নেপাল যথেষ্ট অবগত। নেপাল সরকার যেন এ ধরনের দাবি থেকে নিজেদের বিরত রাখে। এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতাকে যেন সম্মান করে।”

শুধু ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করাই নয়, ভারত তাঁদের দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে এমন মন্তব্য করে এর আগেও বিতর্কের মুখে পড়েছেন ওলি। গত মে মাসে ওলি অভিযোগ করেন, নেপালে করোনাভাইরাস ছড়ানোর জন্য দায়ী ভারত। পাশাপাশি এটাও বলেন, “চিনা এবং ইতালীয় ভাইরাসের থেকে ভারতের ভাইরাস অনেক বেশি মারাত্মক।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement