ইজ়রায়েলে রকেট হামলা। ছবি: রয়টার্স।
পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে যখন বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছে আমেরিকা, ঠিক সেই সময়েই আবার পর পর রকেট হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল লেবানন এবং ইজ়রায়েল। জানা গিয়েছে, লেবানন থেকে উত্তর ইজ়রায়েল লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট হামলা চালানো হয়। হামলার অভিযোগ উঠেছে হিজ়বুল্লার বিরুদ্ধে। সেই হামলায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে চার জন বিদেশিও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ইজ়রায়েল সেনা সূত্রে খবর, সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ২৫টি রকেট হামলা চালানো হয় লেবানন থেকে। সেই সময় জলপাইয়ের বাগানে কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। সেই হামলায় মৃত্যু হয় সাত জনের। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইজ়রায়েল এবং হামাসের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পশ্চিম এশিয়া। শান্তি ফেরাতে আমেরিকার কূটনীতিকরা ওই অঞ্চলে গিয়েছেন। লেবানন এবং গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকের প্রস্তুতিও চলছিল। সেই সময়েই ইজ়রায়েলে লেবাননের হামলা পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করল বলেই মনে করছেন অনেকে।
গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লেবানন এবং ইজ়রায়েলের সংঘর্ষ জারি। আকাশপথের পাশাপাশি লেবাননে ঢুকেও সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইজ়রায়েলি বাহিনী। দক্ষিণ লেবাননে হিজ়জবুল্লার একের পর এক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাদের। হামলায় হিজ়বুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেছে ইজ়রায়েল। হিজ়বুল্লার নতুন প্রধান নঈম কাশেমকেও সম্প্রতি হুমকি দিয়েছে ইজ়রায়েল। তাঁর সময় ফুরিয়ে এসেছে বলে হুমকি দেওয়া হয় হিজ়বুল্লা প্রধানকে। বৃহস্পতিবারই কাশেম বার্তা দেন, ইজ়রায়েল যদি চায় তাদের জন্য আলোচনার রাস্তা খোলা রেখেছেন তাঁরা। এই বার্তার পর পরই প্রশ্ন ওঠে তা হলে কি হামলার মুখে পড়ে সুর নরম করছে হিজ়বুল্লা? যদিও কাশেম হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে হামলা জারি থাকবে। তার পরই বৃহস্পতিবার লেবানন থেকে পর পর রকেট হামলা চালানো হল ইজ়রায়েলে। এই হামলার পরই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজ়রায়েল।