ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে গভীর রাতে মাঝনদীতে ‘অভিযান-১০’- লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল ঢাকার নৌ আদালত। এই ঘটনায় ৪২ জন আরোহী পুড়ে মারা গিয়েছেন। ২২ জনের খোঁজ নেই। প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ১০০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। সমুদ্র পরিবহণ দফতরের প্রাথমিক তদন্তের পরে লঞ্চটির মালিক এবং চালক-কর্মীদের গুরুতর অবহেলা ধরা পড়েছে। তারই ভিত্তিতে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ওই ৮ জনের মধ্যে ৪ জন লঞ্চটির মালিক, বাকি ৪ জন চালক ও কর্মী।
সমুদ্র পরিবহণ দফতরের পক্ষে তদন্তে দেখা গিয়েছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না-করে সম্প্রতি লঞ্চটির ইঞ্জিন বদলানো হয়েছিল, যাতে সেটি আরও জোরে ছুটতে পারে। কিন্তু নতুন ইঞ্জিনটি এত বড় লঞ্চ টেনে নিয়ে যেতে পারে কি না, তা দেখা হয়নি। তাই বৃহস্পতিবার ভিড়ে ঠাসা লঞ্চটি কিছু দূর আসা মাত্র ইঞ্জিনটি প্রচণ্ড গরম হয়ে যেতে থাকে। এর ফলে লোহার কাঠামোয় তৈরি লঞ্চটিও গরম হয়ে যায়। ওই ইঞ্জিনের ঘর থেকেই আগুন ছড়ায়। তা ছাড়া, ইঞ্জিন ঘরের বাইরে বড় বড় ড্রামে ডিজেল রেখে দেওয়া হয়েছিল। নানা জায়গায় বিপজ্জনক ভাবে জ্বালানি তেল বা গ্রিজ় মজুত রাখা হয়েছিল, যার ফলে কার্যত সেটি জতুগৃহে পরিণত হয়েছিল।