ইস্টার পরবের মধ্যে ভয়াবহ নাশকতার ছক ভেস্তে দিল পাক সেনা। সেনাবাহিনীর প্রচার শাখা আজ জানিয়েছে, লাহৌরে এক আবাসনে অভিযান চালিয়ে এক আইএস জঙ্গিকে খতম করা হয়। গ্রেফতার করা হয় তার স্ত্রীকে। সে-ও আইএস জঙ্গি। গ্রেফতার হয়েছে তাদের এক সহযোগীও। এরা ইস্টার পরবের জমায়েতে হামলা চালানোর ছক করেছিল।
গত ইস্টারের ভয়াবহ স্মৃতি ভোলেনি লাহৌর। শহরের এক পার্কে জামাত-উল-আহরার-এর এক জঙ্গির আত্মঘাতী বিস্ফোরণে অনেক শিশু-সহ ৭০ জনের বেশি নিহত হন।
সেনা মুখপাত্র জানাচ্ছেন, সে দিন রাত ১০টা নাগাদ সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী লাহৌরের পঞ্জাব হাউসিং সোসাইটির একটি বাড়ি ঘিরে ফেলতেই ভিতর থেকে গুলি ছুটে আসতে থাকে। পাল্টা গুলি চালায় সেনা-পুলিশের যৌথ দলটি। কিছু ক্ষণ পরে গুলির লড়াই থামলে ভিতরে গিয়ে দেখা যায় এক যুবকের দেহ পড়ে আছে। জানা যায়, তার নাম আলি তারিক। বয়স ৩২। ওই বাড়ি থেকেই ধরা হয়েছে এক যুবতীকে। সে তারিকের স্ত্রী। ঘণ্টাখানেক ধরে সে-ও গুলির লড়াই চালিয়েছিল। তল্লাশি চালিয়ে বাড়িটি থেকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানোর দু’টি জ্যাকেট ও চারটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। শনিবার ওই বাড়ির মালিক ও এক সম্পত্তি ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, তারিক ছিল লাহৌরেরেই বাসিন্দা। তার স্ত্রী নৌরিন লেঘরি ছিল সিন্ধ প্রদেশের লিয়াকত ইউনিভার্সিটি অব মেডিক্যাল অ্যান্ড হেল্থ সায়েন্সেসের পড়ুয়া। বছরখানেক ধরে বাড়ির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখত না। গত ফেব্রুয়ারি মাসে একেবারেই উধাও হয়ে যায়। নিখোঁজ ডায়েরিও করে পরিবার। সপ্তাহখানেকের মাথায় পুলিশ জানায়, নৌরিন আইএস-এ যোগ দিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইএস-এর হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা চলছে।