—ফাইল চিত্র।
পাক জেলে বন্দি কুলভূষণের হয়ে মামলা লড়লে সেই আইনজীবীর সদস্যপদ খোয়া যেতে পারে বলে হুমকি দিল লাহৌর হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন।
কুলভূষণকে বাঁচাতে ভারত আইনি পথে লড়ার তোড়জোড় শুরু করেছে। এই নিয়ে শুক্রবার বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই স্থির করা হয় যে, কোনও মতেই কুলভূষণের রেহাই বরদাস্ত করা হবে না। তাই ভারত আইনি পথে এগোলে তাঁর হয়ে যাতে কোনও আইনজীবী মামলা না লড়েন তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেন তাঁরা। ওই বার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল আমের সঈদ রান বলেন, ‘‘ভারতীয় ওই প্রাক্তন নৌসেনা অফিসারের জন্য মামলা লড়লে অ্যাসোসিয়েশন তাঁর সদস্যপদ খারিজ করবে। ভারতের চাপে পড়ে যাতে তাঁর মুক্তির কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় তার জন্য পাক সরকারকেও অনুরোধ জানানো হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: শিশুকন্যাদের যোনির অঙ্গচ্ছেদ! আমেরিকায় ধৃত এই ভারতীয় চিকিত্সক
এ দিকে কুলভূষণকে ফেরাতে ভারতও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনার গৌতম বামবাওয়ালে খুব দ্রুত পাকিস্তানের বিদেশ সচিব তেহমিনা জানজুয়া-র সঙ্গে দেখা করতে পারেন। কুলভূষণের মুক্তির জন্য আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পাকিস্তানের আদালতে সশরীরে হাজির করার আবেদন (হেবিয়াস কর্পাস) করার চেষ্টা করছেন কূটনীতিকরা। প্রয়োজনে কুলভূষণের পরিবারকে দিয়েও পাক আদালতে এই নিয়ে মামলা করার কথা ভাবছে ভারত।
এর আগে কুলভূষণের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে ১৩ বার অনুরোধ জানিয়েছিল ভারত। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি পাকিস্তান। তার উপর কুলভূষণ কোন জেলে রয়েছেন তাও ভারতকে জানানো হয়নি। গুপ্তচরবৃত্তি এবং বালুচিস্তান-করাচিতে নাশকতা ছড়ানোর অভিযোগে ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওই অফিসারকে গত সোমবার মৃত্যুদণ্ড দেয় ইসলামাবাদের মিলিটারি কোর্ট। পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া সেই নির্দেশের কথা সামনে আনেন।