শনিবার ভারতীয় সময় দুপুর ২টো নাগাদ কিভে ঢুকে পড়ে রাশিয়ার সৈন্যবাহিনী। শহরের রাস্তার ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে মুখোমুখি লড়াই শুরু হয়। দেশরক্ষায় অস্ত্র হাতে নেমে পড়েন প্রাক্তন সেনাকর্মী থেকে সাধারণ নাগরিকও।
ফাইল চিত্র।
ক্রমশ দীর্ঘায়িত হচ্ছে যুদ্ধ। এর জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করল ক্রেমলিন। তারা আলোচনার টেবিলে না বসার জন্যই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে মন্তব্য করছে রাশিয়া। ফের এক বার আলোচনা টেবিলে বসার আহ্বান জানাল ক্রেমলিন।
শনিবার ভারতীয় সময় দুপুর ২টো নাগাদ কিভে ঢুকে পড়ে রাশিয়ার সৈন্যবাহিনী। শহরের রাস্তার ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে মুখোমুখি লড়াই শুরু হয়। দেশরক্ষায় অস্ত্র হাতে নেমে পড়েন প্রাক্তন সেনাকর্মী থেকে সাধারণ নাগরিকও। স্থানীয় প্রশাসনের থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় বাইরের না বেরনোর জন্য। কিভে ভোর পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত কার্ফু জারি করা হয়েছে।
অন্য দিকে, পুতিনের পক্ষে মুখ খুলেছেন রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি বলেন, ‘‘এই যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে অনেক দেশই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’’
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিষয়ক ডেপুটি হাই কমিশনার আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি ইউক্রেনের বাসিন্দা দেশ ছেড়েছেন। প্রায় সাড়ে আট লক্ষ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। পরিস্থিতির যদি আরও অবনতি হতে থাকে তবে আরও ৪০ লক্ষ ইউক্রেনবাসী দেশ ছাড়বেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে কিভ থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট তা প্রত্যাখান করেছেন। তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘‘আমাকে সরিয়ে নিতে হবে না। আমার গোলা-বারুদ দরকার।’’