ক্ষেপণাস্ত্র কিমের, ব্যর্থ এ দফাতেও

লাগাতার হুঁশিয়ারি আমেরিকার। আলোচনার টেবিলে বসার ডাক চিনের। প্রতিপক্ষ বা মিত্র, কারও কথাতেই আর কান দিচ্ছে না উত্তর কোরিয়া। ফের তার প্রমাণ দিলেন কিম জং উন। আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, শনিবার ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়া।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫৫
Share:

লাগাতার হুঁশিয়ারি আমেরিকার। আলোচনার টেবিলে বসার ডাক চিনের। প্রতিপক্ষ বা মিত্র, কারও কথাতেই আর কান দিচ্ছে না উত্তর কোরিয়া। ফের তার প্রমাণ দিলেন কিম জং উন। আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, শনিবার ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়া। যদিও আকাশে ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সেটি ধ্বংস হয়ে যায়। সুযোগ হাতছাড়া করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিন ও উত্তর কোরিয়ার ‘সুসম্পর্ককে’ ধাক্কা দিতে তাঁর টুইট, ‘‘এই পরীক্ষা চালিয়ে চিন ও সে দেশের প্রেসিডেন্টের (শি চিনফিং) প্রস্তাবকে অসম্মান করল উত্তর কোরিয়া।’’ দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের কাছে পুকচাং বিমানঘাঁটি থেকে আজ মাঝারি পাল্লার একটি কেএন-১৭ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। দেশের সীমানা পেরনোর আগেই ভেঙে পড়ে সেটি।

Advertisement

গত কালই নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন বলেছেন, ‘‘উত্তর কোরিয়া যদি অবিলম্বে তাদের পরমাণু পরীক্ষা বন্ধ না করে, তবে তা সারা পৃথিবীর জন্যই বিপজ্জনক হবে। আমেরিকা কখনওই তা মেনে নেবে না।’’ সম্প্রতি আমেরিকা এও জানায়, পিয়ংইয়ংকে চাপে রাখতে তার একমাত্র সঙ্গী চিনও এ বার আর্থিক নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কিম প্রশাসনকে। বৃহস্পতিবার টিলারসনই একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘বেজিংয়ের তরফে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। তারা উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছে।’’ সম্প্রতি শি চিনফিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও জানান, উত্তর কোরিয়াকে চাপে রাখার সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং। যদিও গত কালই চিন বলে, উত্তর কোরিয়ার সমস্যা মেটানো একা চিনের হাতে নেই। এর জন্য আলোচনার টেবিলে বসতে হবে কিম জং উনের সরকারকে। যদিও শনিবারের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর বিশ বাঁও জলে সেই প্রস্তাব। আজই দক্ষিণ কেরিয়ার সঙ্গে যৌথ ভাবে সামরিক মহড়া শুরু করেছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন।

শনিবারের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কড়া সমালোচনা করেছে জাপান। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের কথায়, ‘‘এ বার চিন কী করে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement