খলিস্তানপন্থী ‘সন্ত্রাসী’ অর্শদীপ সিংহ ওরফে অর্শ ডাল্লা। —ফাইল চিত্র।
ভারত অনেক দিন ধরেই খুঁজছিল তাঁকে। এমনকি, ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ঘোষণাও করা হয়েছিল। এত দিন কানাডায় লুকিয়ে ছিলেন তিনি। রবিবার সেই খলিস্তানপন্থী সন্ত্রাসী অর্শদীপ সিংহ ওরফে অর্শ ডাল্লাকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ। ‘ইন্ডিয়া টুডে’-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত মাসে প্রতিবেশী দেশে গুলিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাম জড়িয়েছিল অর্শদীপের। সেই ঘটনার তদন্তেই তাঁকে খুঁজছিল কানাডার পুলিশ। রবিবার প্রথমে তাঁকে আটক করে, পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর।
গত মাসে মিলটন শহরে একটি গুলিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তদন্তকারীদের সন্দেহ, সেই ঘটনায় যোগ ছিল অর্শদীপের। আততায়ীদের আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন তিনিই। সেই মামলাতেই রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে গ্রেফতারির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভারতে একাধিক সন্ত্রাসমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে অর্শদীপের বিরুদ্ধে। ভারতের তরফে তাঁকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ঘোষণাও করা হয়েছিল। তবে নাগাল পাওয়া যায়নি। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কানাডায় স্ত্রীকে নিয়ে বাস করছিলেন অর্শদীপ। তার গ্রেফতারির বিষয়টির উপর গভীর ভাবে নজর রাখছে ভারত। এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, সে বিষয়ে কানাডার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও রাখা হচ্ছে বলে খবর।
অর্শদীপ ছিলেন খলিস্তানি টাইগার ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত প্রধান। নিহত সন্ত্রাসী হরদীপ সিংহ নিজ্জরের উত্তরসূরি হিসাবেও দেখা হয় তাঁকে। প্রসঙ্গত, খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই ভারত-কানাডার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। জাস্টিন ট্রুডোর সরকার নিজ্জর-হত্যায় ভারতের হাত আছে বলে দাবি করে। সেই নিজ্জরেরই ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত অর্শদীপ।
উল্লেখ্য, অর্শদীপের গ্যাং ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম করে বলেও অভিযোগ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে কংগ্রেস নেতা বালজিন্দর সিংহ বাল্লি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছিলেন অর্শদীপ। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তিনি দাবি করেছিলেন, বালজিন্দর তাঁর জীবন নষ্ট করে দিয়েছিলেন। অন্ধকার জগতে যেতে বাধ্য করেছিলেন। এ ছাড়াও, আরও বেশ কয়েকটি মামলায় অর্শদীপের নাম জড়িয়েছে।