জুলফিকার আহমেদ খান।
ক্লাব থেকে বেরিয়ে ট্যাক্সি নিয়ে ফিরছিলেন তাঁরা। আচমকাই তাঁদের রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে দেশের তদন্তকারী সংস্থা (ডিসিআই)-এর একটি শাখা স্পেশাল সার্ভিস ইউনিট (এসএসইউ)-এর ডিরেক্টরের গাড়ি। কয়েক জন ওই গাড়ি থেকে নেমে ট্যাক্সি থেকে তাঁদের বার করে আনলেন। কেনিয়ায় নিখোঁজ দুই ভারতীয়ের সঙ্গে তার পর কী ঘটেছে, তা এখনও অজানা।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর প্রচারের দায়িত্বে থাকা সংস্থায় কর্মরত ছিলেন দুই ভারতীয় জুলফিকার আহমেদ খান এবং মহম্মদ জইদ সামি কিদোয়াই। জুলাই মাসে মোম্বাসা রোড থেকে তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান। সেই থেকে খোঁজ মেলেনি তাঁদের গাড়ির চালকেরও। ওই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়তেই প্রেসিডেন্ট-ঘনিষ্ঠ ডেনিস ইতুম্বি নামে এক আধিকারিক দাবি করেন, মাস দুয়েক আগে নিখোঁজ হওয়া ওই দুই ভারতীয়কে সম্ভবত খুন করা হয়েছে এবং তার নেপথ্যে রয়েছে এসএসইউ। গত শনিবারই ওই শাখাটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেনিয়া সরকার। ইতিমধ্যেই দুই ভারতীয়ের নিখোঁজের ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি তুলে সরব হয়েছে ভারত সরকার।
এত সব কিছুর পরেও থেকে গিয়েছে ধোঁয়াশা। উঠছে বহু প্রশ্ন। যেমন, এত দিন ধরে তদন্তের পরেও কেন এত কম তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে ওই ঘটনা সম্পর্কে? নাইরোবি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে যে জায়গা থেকে তিন জনকে অপহরণ করা হয়েছিল, তার আশপাশ থেকেই পরে হাড়, জামাকাপড়, বেল্ট পেয়েছে কেনিয়া পুলিশ। সেই সব উদ্ধার হওয়া জিনিস কি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল? যদি হয়ে থাকে, তা হলে তার রিপোর্টই বা কোথায়? আর এসএসইউ কেনই বা জুলফিকার আর কিদোয়াইকে অপহরণ করল, তা-ও এখনও স্পষ্ট নয়।
এ দিকে, জুলফিকারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তাঁর পরিবার। পরিবারের এ-ও দাবি, নিহত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করতেন না। কেনিয়ায় ছুটি কাটাতে এসেছিলেন জুলফিকার। আবার বন্ধুদের দাবি, জুলফিকার এখনও বেঁচে রয়েছেন। তাঁকে খুনের দাবি সম্পূর্ণ ‘ভুয়ো’ বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এখন দেখার, কবে এই রহস্যের উন্মোচন হয়।